Limo Light
Nearby taxis
Old al Ghanim, Doha
Doha 12345
Doha
, Doha
Doha
Al Mansoura, Doha
Mag Touch Properties, Doha
Najma, Doha
Azzizziya, Doha
Doha
Binomraan, Doha
D-Ring Road, Doha
, Doha
شارع حمد الكبير, Doha
Umm Ghuwailina, Doha
Nearby transport services
Souq al Asiery, Doha
Qatar doha, Doha
Qatar, Doha
Doha 974
Doha
Blgd: 423 Street : 311 Zone: 90 Floor: 3rd Floor Room :, Doha
Comments
😊 এই মাত্র 5-6 মিনিটের কিছু সহজ কাজ করে ফেসবুকে ৫০০ টাকা আয় করলাম। আপনিও করতে পারবেন। 😊
★★ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা ফেইসবুকে প্রতিদিন 400-500/- টাকা আয় করার ব্যবস্থা রেখেছেন। অনেকেই জানেননা। 5-6 মিনিটের সহজ কাজ করে সকল ফেসবুক ইউজার এই টাকা আয় করতে পারেন। ✌ ইতোমধ্যে আমি আমার ফোন নাম্বারে BDT500.00 টাকা পেয়ে গেছি। আপনি সরাসরি Flexiload বা bKash এ আপনার আয়ের টাকা নিতে পারবেন। তাই দেরী না করে আপনি নিজেই ইনকাম করা শুরু করুন, আপনার মোবাইলের Opera mini বা uc browser বা অন্য যেকোনো কিছু থেকে এই এড্রেস এ যান →→ www.500taka.site । অথবা এই লিংকে ক্লিক করুন →→ www.500taka.site , আর আয় করে নিন খুব সহজে এবং খুব কম সময়ে। ✌✌✌
দিনের পর দিন ব্যস্ততার পর প্রতিটি মানুষই চায় একটু নির্মল বিনোদন। তাই সবাই ছুটে যাই প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্যে।
পরিবার পরিজনের সাথে নিরিবিলি পরিবেশে হৈইচৈই করে একটি সুন্দর দিন কাটাতে ঘুরে আসুন ঢাকার কাছে অপরূপ আমাদের সব রিসোর্টে ।
©© Package Details ®®
1. Package Rate: 2,000 Tk. Per Person (Minimum 10 person)
2. Package Rate: 1750 Tk. Per person (Pax 100 person)
3. Couple Package start from 7,500 Tk.
@@ Time: 9 am to 6 pm (for group tour) @@
------------ Facilities We provide for you ----------
1. A/C Room for Refreshment
2. Foods- 3 times
a. Breakfast/ Morning snacks: Parata, Butter Dal, Egg, Tea & mineral water.
b. Lunch : Rice, Mixed Vegetable, Fish, Chicken Curry/Beef Rezala, Salad, soft drinks & Mineral water.
c. Evening Snakes: Singara/Samucha, Piaju/Plain Cake, Tea & Mineral water.
3. Swimming Pool (not applicable for couple for working day hangout)
4. Play Ground
5. Kids Play zone
6. Rides as per Pay Basis
7. Mini zoo
যোগাযোগ: 01717-401919 / 01779-756504, 02-55040946
https://www.facebook.com/LamPostToursTravels/
দিনের পর দিন ব্যস্ততার পর প্রতিটি মানুষই চায় একটু নির্মল বিনোদন। তাই সবাই ছুটে যাই প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্যে।
পরিবার পরিজনের সাথে নিরিবিলি পরিবেশে হৈইচৈই করে একটি সুন্দর দিন কাটাতে ঘুরে আসুন ঢাকার কাছে অপরূপ আমাদের সব রিসোর্টে ।
©© Package Details ®®
1. Package Rate: 2,000 Tk. Per Person (Minimum 10 person)
2. Package Rate: 1750 Tk. Per person (Pax 100 person)
3. Couple Package start from 7,500 Tk.
@@ Time: 9 am to 6 pm (for group tour) @@
------------ Facilities We provide for you ----------
1. A/C Room for Refreshment
2. Foods- 3 times
a. Breakfast/ Morning snacks: Parata, Butter Dal, Egg, Tea & mineral water.
b. Lunch : Rice, Mixed Vegetable, Fish, Chicken Curry/Beef Rezala, Salad, soft drinks & Mineral water.
c. Evening Snakes: Singara/Samucha, Piaju/Plain Cake, Tea & Mineral water.
3. Swimming Pool (not applicable for couple for working day hangout)
4. Play Ground
5. Kids Play zone
6. Rides as per Pay Basis
7. Mini zoo
যোগাযোগ: 01717-401919 / 01779-756504, 02-55040946
https://www.facebook.com/LamPostToursTravels/
so like this page:
https://free.facebook.com/All-New-Update-Video-1126416090739862/
so like this page:
https://free.facebook.com/All-New-Update-Video-1126416090739862/
Limolight - Online Car Booking & Food/Grocery Delivery APP! Coming Soon...! Limolight.com - Online Car Booking and Delivery Services APP !
Senior Web & Database developer
Send your CV at [email protected] gmail . com or whatsapp +971544472578
Web Developer Skills and Qualifications:
Python & NodeJs, Django, JavaScript, JQuery, HTML, HTML5, CSS, CSS3, Web Programming Skills, E-Commerce, Teamwork, Verbal Communication, cross-browser compatibility, Web User Interface Design (UI), Security Principles, Object-Oriented Design, Web Services (REST/SOAP), Multimedia Content Development, API’s
Database Developer Requirements:
Degree in information technology, computer science, or an adjacent field.
Certificate in Database Development is strongly advantageous.
Demonstrable experience as a database developer.
Portfolio of previous developments is preferred.
Advanced proficiency in SQL, C++, or Java, with a preference for more than one of these.
Exceptional critical thinking and troubleshooting abilities.
Ability to craft detailed technical manuals.
Accommodating and patient.
Lease or cash to own Brand New available Cars:
- Toyota Camry 2020
- Toyota Innova 2020
- Toyota Prado 2020
- Kia Cerato 2020
- Honda CRV 2020
Contact for Details information on Whatsapp +974 66327297 / 66659588 (whatsapp)
Email: [email protected]
iOS & Web Developer Job Vacancies:
Responsible for designing and coding the base application, ensuring the quality of the application, fixing application bugs, maintaining the code, and implementing application updates.
Current Project as follows:
01. Car Booking App - Similar Uber
02. Food Delivery App - Similar Talabat
03. Business App - eCommerce
Minimum 3 Years Experience
Please send your CV at [email protected]
Success without the footprint of lazy people, this wonderful kid 😍😍😍
It's hard to find words to express my debt. UK Prime Minister Boris Johnson says it 'could have gone either way' as he thanked NHS staff for saving his life while in hospital with corona virus. He was treated at London's St Thomas hospital where he spent three nights in intensive care...

Al Ezz Tower 4
Al Ezz Tower 4 ★★★★☆ · Office space rental agency · Building No: 81, Al Safliya St
বড় ট্রান্সফার ফি, জার্মানিতে উদ্বেগ
ভলফসবুর্গ থেকে বেলজিয়ান মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনকে ৭ কোটি ৯৮ লাখ ইউরোয় (৫ কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড, ৮ কোটি ৯৩ লাখ ডলার) কিনেছে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি। এভাবে জার্মান বুন্দেসলিগা থেকে একের পর এক তারকা খেলোয়াড়কে কিনে আনছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো। ইংল্যান্ডের ধনী ক্লাবগুলো বুন্দেসলিগায় থেকে মেধাবী খেলোয়াড়দের কিনে নেয়ায় জার্মান লিগটিতে তৈরি হয়েছে চরম উদ্বেগ ও উত্কণ্ঠা।
ডি ব্রুইন গত মৌসুমে বুন্দেসলিগার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন। কিন্তু তাকে ধরে রাখতে পারেনি ভলফসবুর্গ। লেভারকুসেন থেকে সন হিউং-মিনকে ২২ মিলিয়ন পাউন্ডে কিনেছে ইংল্যান্ডের আরেক ক্লাব টটেনহাম হটস্পার্স। গত জুনে হফেনহেইম থেকে ২৯ মিলিয়ন পাউন্ডে রবার্তো ফার্মিনোকে কিনেছে ইংলিশ জায়ান্ট লিভারপুল। জুলাই মাসে বায়ার্ন মিউনিখ থেকে জার্মান অধিনায়ক বাস্তিয়ান শোয়েনস্টেইগারকে ১৪ মিলিয়ন পাউন্ডে দলে ভেড়ায় বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এ চার খেলোয়াড়কে বিক্রি করে জার্মানির ক্লাবগুলো পেয়েছে প্রায় ১৭ কোটি ইউরো। বায়ার্ন মিউনিখের জার্মান ফরোয়ার্ড থমাস মুলারকে কিনতেও হাত বাড়িয়েছিল ম্যানইউ, তবে তা বাস্তবে ঘটেনি।
জার্মান ক্লাবগুলো থেকে তারকা খেলোয়াড়দের কিনে নেয়ায় দুই লিগের মধ্যে শক্তির তফাত দিন দিন বাড়ছে বলে ধারণা অনেকের। হামবুর্গের কোচ ব্রুনো লাব্বাডিয়া এ নিয়ে বলেন, ‘এর ফলে লিগগুলোর মধ্যে তফাত আরো বেড়ে যাচ্ছে।’ বুন্দেসলিগায় এবার নতুন খেলছে ইঙ্গোলস্টাড। এ দলটির কোচ রালফ হাসেনহুয়েটল মনে করেন, বুন্দেসলিগা থেকে প্রিমিয়ার লিগে খেলোয়াড়দের এই যাত্রা ভবিষ্যতে আরো বাড়বে। তার কথায়, ‘খেলাধুলায় এমন অর্থের ছড়াছড়ি সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমি সুখী যে, এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমার খেলোয়াড়রা জড়িয়ে নেই কিন্তু এটা পাল্টেও যেতে পারে। চেঞ্জ রুমে গিয়ে আপনি যদি আপনার স্কোয়াডটা আগের মতো দেখেন, তবেই সুখী থাকা উচিত।’
ভলফসবুর্গ, লেভারকুসেন ও হফেনহেইম ক্লাব তিনটি চলে যথাক্রমে গাড়ি কোম্পানি ভলফসওয়াগন, ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি বেয়ার ও সফটওয়্যার জগতের ধনকুবের ডিয়েটমার হপের অর্থে। ভলফসওয়াগনের মতো বিশ্বখ্যাত গাড়ি নির্মাণ কোম্পানির আর্থিক সাহায্য নিয়েও ডি ব্রুইনকে সপ্তাহে ২ লাখ পাউন্ড পারিশ্রমিক দিতে অপারগতা জানায় ভলফসবুর্গ। এ নিয়ে ভলফসওয়াগনের চেয়ারম্যান মার্টিন উইন্টারকর্ন বলেন, ‘কিছু কিছু সময় আপনি অসহায় হয়ে পড়বেন। এমনকি বায়ার্ন মিউনিখের মতো ক্লাবও ডি ব্রুইনের ব্যাপারে আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও পিছিয়ে যায় কেবল উচ্চ ফি ও পারিশ্রমিকের কারণে। বায়ার্ন বলেছে, তারা এত উচ্চ পারিশ্রমিক দিয়ে খেলোয়াড় রাখতে অনিচ্ছুক।’
ইংলিশ ক্লাবগুলো অর্থের জোরে তারকা খেলোয়াড়দের ছিনিয়ে নিচ্ছে এবং এভাবে তাদের শ্রেষ্ঠত্বও ধরে রাখছে, কাজেই এর বিরুদ্ধে জার্মান ক্লাবগুলোর সতর্ক হওয়ার এখনই সময়— এমনটা বললেন উইন্টারকর্ন। তার ভাষায়, ‘জার্মান ফুটবলের শক্তি ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে ক্লাবগুলোকে খেলোয়াড় বিক্রির ক্ষেত্রে বেশ সতর্ক থাকা উচিত।’
ডি ব্রুইনের ট্রান্সফার ফি নিয়ে দরকষাকষিতে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অচলাবস্থা চলছিল দুই ক্লাবের মধ্যে। এতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্বীকার করছেন ভলফসবুর্গ ক্লাবের স্পোর্টিং ডিরেক্টর ক্লাউস অ্যালোফস। রোববার চুক্তি স্বাক্ষরের আগ পর্যন্ত মিডিয়াকর্মীদের প্রশ্নবানে জর্জর হয়েছেন ক্লাউস ও দলটির কোচ ডিয়েটার হেকিং। ডি ব্রুইন ও সনের ট্রান্সফার নিয়ে দুই ক্লাবের খেলার পরিবেশ যতটা বিঘ্নিত হয়েছে, ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি হবে না বলেই মনে করেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ক্লাবের সিইও হ্যানস-জোয়াকিম। ট্রান্সফার উইনডো নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা আমাকে ভয়াবহভাবে বিরক্ত করেছে। ট্রান্সফার উইনডো আসলে ১ আগস্টই শেষ হয়ে যাওয়া উচিত। শেষ কয়েকটা দিনে যা ঘটে তা আসলে ভয়ঙ্কর।’ তিনি যোগ করেন, ‘বিষয়টি এখন এমন দাঁড়িয়েছে— বড় ও ধনী ক্লাবগুলো ৩০ ও ৩১ আগস্ট ২০, ৩০, ৪০ কিংবা ৫০ মিলিয়ন ইউরো নিয়ে এসে সবকিছু কাঁপিয়ে দেয়। একজন কোচ হিসেবে আপনার নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত, আমরা কেন প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি নেই। এ সময় আপনি চারজন খেলোয়াড়কে বিদায় দিলেন, চারজন নতুনকে দলে আনলেন। এটা আসলে উন্মত্ততা।’
ব্রুইনের ট্রান্সফারের মধ্য দিয়ে ভলফসবুর্গ ও ম্যানসিটি উভয়ই রেকর্ড গড়েছে। কেবল ভলফসবুর্গেরই নয়, এটা জার্মান ফুটবলের ইতিহাসেও রেকর্ড, আর ব্রিটিশ ফুটবলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ইংল্যান্ডে ডি ব্রুইনের আগে রয়েছে কেবল অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার ট্রান্সফার ফি। গত বছর ৫ কোটি ৯৭ লাখ পাউন্ডে তাকে রিয়াল মাদ্রিদের কাছ থেকে কিনেছিল ম্যানইউ। এই গ্রীষ্মে তিনি ম্যানইউ ছেড়ে উড়াল দিয়েছেন প্যারিসে। তার নতুন ঠিকানা পিএসজি। এএফপি
প্রকল্প ৫০ কোটি টাকার বেশি হলে স্থায়ী পিডি
উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ ও কাজে গতিসঞ্চার করতে স্থায়ী প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেকের সভায় এছাড়া রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা হ্রাসে দুটি প্রকল্পসহ মোট সাতটি প্রকল্প অনুমোদন হয়, যেগুলোর প্রাক্কলিত ব্যয় ৭ হাজার ২১৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৩ হাজার ১১৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায্য ৩ হাজার ৯৯৩ কোটি আর বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন ১০৪ কোটি টাকা।
গতকাল পাস হওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে— কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প (সংশোধিত)। ২০০৬ সালে এ প্রকল্প শুরু হলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পটির প্রধান কাজগুলো শেষ হয়নি। গতকাল প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়িয়েছে একনেক। প্রথমে এটির মেয়াদ ছিল ২০১০ সাল পর্যন্ত। কিন্তু ঘন ঘন প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তন হওয়ায় বাস্তবায়নে শ্লথতা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে একনেক সভায় স্থায়ী প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে ৫০ কোটি টাকার উপরের সব প্রকল্পে স্থায়ী পরিচালক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে ওই পরিচালককে একাধিক দায়িত্ব দেয়া হবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়।
কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ৮৮৪ কোটি, প্রকল্প সাহায্য হিসেবে জাইকা ৯৪০ কোটি এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম ওয়াসা ২৪ কোটি টাকা দেবে। সংশোধিত প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ ২০০৬ থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রতিদিন ভূ-উপরিভাগের ১৪ কোটি ৩০ লাখ লিটার পরিশোধিত পানি চট্টগ্রাম নগরীতে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
একই সঙ্গে গতকাল একনেক সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্প (ফেজ-৩) নামের একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫৯৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য ৩ হাজার ৫৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ১ হাজার ৫১৩ কোটি ৮০ লাখ এবং ঢাকা ওয়াসার তহবিল থেকে ৩০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
জানা গেছে, দৈনিক ২২০ কোটি লিটার চাহিদার বিপরীতে ঢাকায় ২০০ কোটি লিটার পানি সরবরাহ হচ্ছে। ২০৩৫ সালে দৈনিক পানির চাহিদা হবে প্রায় ৫২৬ কোটি লিটার। পানি সরবরাহে ঢাকা ওয়াসা এখনো মূলত ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল। ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে প্রতি বছর পানির স্তর ২-৩ মিটার নিচে নেমে যাচ্ছে, যা শুধু পরিবেশের জন্যই হুমকি নয়, ভবিষ্যতে খাবার পানি সংকটেরও কারণ হতে পারে। এসব দিক বিবেচনায় এনে ঢাকা ওয়াসা ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে।
এদিকে যমুনা নদীর ভাঙন রোধে যে পরিমাণ অর্থ খরচ হচ্ছে, সে অনুপাতে ভাঙন রোধ হচ্ছে না বলে সভায় আলোচনা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী যমুনা নদীর ভাঙন রোধে এ পর্যন্ত কী পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছে, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে তার একটি হিসাব দেয়ার নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে। বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দিতে যমুনার তীর সংরক্ষণে ৩০১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প উপস্থাপন করা হলে প্রাসঙ্গিক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী মতপ্রকাশ করেন, বারবার ছোট প্রকল্প না নিয়ে একবারে একটি বড় প্রকল্প নিয়ে স্থায়ীভাবে যমুনার তীর সংরক্ষণ করলে তা টেকসই হবে। যেমনটি হয়েছে চাঁদপুরে। সারিয়াকান্দি উপজেলার কুর্ণিবাড়ী থেকে চন্দনবাইশা পর্যন্ত যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ কাজসহ বিকল্প বাঁধ নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পটির আওতায় প্রায় ছয় কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণ করা হবে।
এছাড়া একনেক গতকাল টাঙ্গাইলে বিসিক শিল্প পার্ক প্রকল্প অনুমোদন করেছে। জানা যায়, ১৯৯০ সালে টাঙ্গাইলে প্রথম শিল্প পার্ক হয়। সেখানে স্থাপিত প্রতিটি শিল্প-কারখানা বর্তমানে চালু রয়েছে। এবার মির্জাপুরের গোড়াইয়ে একটি শিল্প পার্ক হবে। এজন্য ৫০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। পরিকল্পিত শিল্প পার্কে মোট ২৮০টি শিল্প প্লট হবে, যার মধ্যে ন্যূনতম ১০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
গতকালের একনেক সভায় পাস হওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে আরো রয়েছে— বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের সমন্বিত গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ, মেঘনা সেতুর স্কাউয়ার প্রটেকশন, মেঘনা সেতু ও গোমতী সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকার রাস্তা উন্নয়ন। ইক্ষু গবেষণার প্রকল্পটিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩ কোটি টাকা। এর পুরোটাই দেবে বাংলাদেশ সরকার। মেঘনা ও গোমতী সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় হবে ৪১ কোটি টাকা। অন্যদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রকল্পটিতে ব্যয় হবে ১৯৯ কোটি টাকা।

অবাধে নিধন হচ্ছে বন্যপ্রাণী
সুন্দরবনে ৩ শতাধিক শিকারির দৌরাত্ম্য
সুন্দরবনের বর্ণনায় লোকে বলত জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ। অনন্য এ অরণ্যের প্রকৃতিপ্রদত্ত পাহারাদার বাঘ-কুমির। জলে-স্থলে এরাই ছিল সুন্দরবনের অধিকর্তা ও অভিভাবক। কিন্তু সময় পাল্টেছে। বাঘের চেয়েও ভয়ঙ্কর শিকারির অহর্নিশ অনুপ্রবেশ ঘটছে সুন্দরবনে। জেলে সেজে বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে তারা বনে যায়। এর পর খাদ্যে বিষ মিশিয়ে, ফাঁদ পেতে, গুলি ছুড়ে বাঘ হত্যা করে। সুন্দরবনে এভাবে বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচারে তত্পর প্রায় ৩০০ শিকারি। এদের পাশাপাশি সক্রিয় বনদস্যুদের বেশক’টি বাহিনী। শিকারি ও বনদস্যুদের অপতত্পরতায় বিলুপ্তির পথে বন্যপ্রাণী ও বনজ সম্পদ। সুন্দরবন ঘিরে এসব শিকারি ও বনদস্যুর পুরো এলাকাই অপরাধের অভয়ারণ্য বানিয়ে রেখেছে।
সূত্র জানায়, পেশাদার শিকারিরা সারা বছর সুন্দরবনে তাদের তত্পরতা চালায়। এসব শিকারির বসবাস সুন্দরবন-সংলগ্ন গ্রামগুলোয়। বন্যপ্রাণী ও মাছের নিরাপদ প্রজনন এলাকায়ও এরা অবাধে ঢুকে পড়ছে। বাঘের পাশাপাশি এরা ফাঁদ পেতে, খাবারে চেতনানাশক ট্যাবলেট মিশিয়ে অথবা জোয়ারের সময় ধাওয়া করে শিকার করে হরিণ। কখনো কখনো গুলি করেও হরিণ শিকার করা হয়।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের কর্মকর্তা (ডিএফও) জহির উদ্দিন আহমেদ জানান, বিভিন্ন সময়ে সুন্দরবনের পশ্চিম ও পূর্ব বিভাগে যারা বন্যপ্রাণী শিকার করে, তাদের ৩০০ জনের তালিকা আমাদের হাতে আছে। তারা সুন্দরবন-সংলগ্ন গ্রামগুলোয় বসবাস করে। এ তালিকা হালনাগাদের কাজ চলছে।
জেলেদের একটি সূত্র জানায়, সুন্দরবনের খালে মাছ সংগ্রহ করতে যাওয়া ট্রলারে দীর্ঘদিন ধরে খুলনা শহরে হরিণের মাংস পাচার হচ্ছে। এমনকি বাঘের চামড়া ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গও এসব ট্রলারে পাচার করা হচ্ছে। সম্প্রতি এ ধরনের একটি ট্রলার থেকে বাঘের ৬৯টি হাড় উদ্ধার করে পুলিশ। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এসব ট্রলার বনের খালে যাচ্ছে বলে জেলেরা জানান।
সূত্র জানায়, চলতি বছর পৃথক সাতটি ঘটনায় বাঘের ছয়টি ও হরিণের ৫৫টি চামড়াসহ ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া গত ৭ আগস্ট খুলনা পুলিশ নতুনবাজার লঞ্চঘাট থেকে বাঘের ৬৯টি হাড়সহ দুই যুবককে গ্রেফতার করে। সর্বশেষ গত ৯ আগস্ট ভোরে পুলিশ কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চরামুখা গ্রাম থেকে বাঘের তিনটি চামড়াসহ ছয় শিকারিকে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ছয় বাঘ শিকারি।
শিকারিদের পাশাপাশি বনদস্যুরাও বন্যপ্রাণী নিধনে নেমেছে। এছাড়া বৈধভাবে বনজ সম্পদ আহরণের জন্য অনুমতিপ্রাপ্তরাও অনেকে বাঘ-হরিণ শিকারে নেমেছে বলে স্বীকার করেছেন খোদ বন কর্মকর্তারা। এভাবে বৈধ-অবৈধ আহরণকারী-অনুপ্রবেশকারীর ভিড়ে নাভিশ্বাস অবস্থা বনের সত্যিকার অধিবাসীদের।
সুন্দরবনের পেশাজীবী জেলে-বাওয়ালি ও বন-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক অভিযান সত্ত্বেও বনদস্যুদের তত্পরতা কমছে না। সূত্রমতে, কেবল নলিয়ান রেঞ্জের আওতায় বর্তমানে পৃথক নয়টি বাহিনী তত্পর। এর মধ্যে অন্যতম ভয়ঙ্কর দস্যু দলের নাম ন’মিয়া বাহিনী। এ বাহিনী সুন্দরবনের পুষ্পকাটি, কাগা, আদাচাই, ভোমরখালী এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া জাহাঙ্গীর বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকা ভদ্রা। বাবু ওরফে খোকা বাবু বাহিনীর অবস্থান কয়রা হড্ডা এলাকায়। কয়রার তেঁতুলতলার চর এলাকার আজিজুল বাহিনী গেওয়াখালী ও গেড়াচালকি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। বাগেরহাটের ছোট জাহাঙ্গীরের বাহিনী কুমড়োকাটি ও পাশাখালী এলাকায় আধিপত্য বজায় রেখেছে। কয়রার মজিদ বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করছে চালোবাকি এলাকা। কয়রার আবু বক্কারের বাহিনী দখলে রেখেছে আন্ধারমানিক এলাকা। মুড়াগাছা কয়রা এলাকার মোহাম্মদ বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করছে ছোট দুধমুখ, বড় দুধমুখ ও শিবসার গোড়া। কয়রার মশিউরের নেতৃত্বে দস্যু দল দখলে রেখেছে সুন্দরবনের বাটলো এলাকা। এসব বাহিনীর কাছে দেশী-বিদেশী বন্দুক, কাটা রাইফেল, টু টু বোর রাইফেল, শটগানসহ বিভিন্ন ছোট-বড় আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বলে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়।
শিকারি ও বনদস্যুদের দৌরাত্ম্যের বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জহির উদ্দিন আহমেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি জনবল, জলযান ও অস্ত্র সংকটের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বন বিভাগের অনেক অফিসে অস্ত্রের পরিবর্তে লাঠি হাতে বন পাহারা দিতে হয়। বনের বৈধ সম্পদ আহরণকারীদের অনেকেই বাঘ-হরিণ শিকারে নেমেছে। এছাড়া বনদস্যুরাও বন্যপ্রাণী শিকার করছে। এ ব্যাপারে যৌথ অভিযানের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান। সুন্দরবন থেকে সম্পদ আহরণে কড়াকড়ি নির্দেশনা আসছে বলেও তিনি আভাস দেন।
বন বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত চোরা শিকারিদের হাতে ১৫টি বাঘ নিহত হয়েছে। অন্যদিকে খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৮ বছরে সুন্দরবন ও আশপাশের এলাকায় ৫২টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি বাঘ পিটিয়ে ও ১৭টি চোরা শিকারিরা কৌশলে হত্যা করেছে। ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর মংলার ঢাংমারীতে একটি বাঘ হত্যা করা হয়। এর পর বাঘের চারটি বড় দাঁত (ক্যানাইন) ৪ লাখ টাকায় বিক্রির চেষ্টা করে পাচারকারীরা। এ ঘটনায় র্যাব সদস্যরা বাঘের তিনটি দাঁতসহ দুজনকে গ্রেফতার করেন। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে শরণখোলা থেকে পাচারের সময় চারটি বাঘের মাথা, তিনটি চামড়া ও ৩২ কেজি হাড় উদ্ধার করা হয়। ২০০৯ সালের ২৬ আগস্ট খুলনা মহানগরীর ময়লাপোতা মোড় থেকে র্যাব সদস্যরা বাঘের চামড়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করেন। এছাড়া ওই বছরের ৯ ও ৩১ ডিসেম্বর ঢাংমারী থেকে তিনটি দাঁতসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, একের পর এক বাঘ হত্যার ঘটনা ঘটলেও তা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না বন বিভাগ। এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির বলেন, সুন্দরবনের বাঘ ও হরিণ এখন বিলুপ্তির পথে। সম্প্রতি বাঘ-হরিণের বেশ কয়েকটি চামড়া উদ্ধার হলেও অধিকাংশ শিকারের ঘটনা প্রশাসনের নজরে আসছে না। সুন্দরবন ও সুন্দরবনের বাঘ-হরিণ বাঁচাতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
পুলিশ, কোস্টগার্ড, র্যাব ও বন বিভাগের উদাসীনতা এবং জনবল ও নজরদারির অভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোরা শিকারিরা। আন্তর্জাতিক বাজারে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের চামড়া ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের চড়া মূল্য থাকায় বাঘ নিধনে নেমেছে শিকারি ও বনদস্যুরা। বাঘের চামড়া, হাড়গোড়, দাঁত উদ্ধারের ঘটনায়ই সুন্দরবনে বাঘ কমার কারণ খুঁজে পেয়েছেন বাঘ বিশেষজ্ঞরা। সরকারি হিসাবমতে, সুন্দরবনে গত ১৬ বছরে ৫২টি বাঘ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা আরো বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু মৃত বাঘের চামড়া বা হাড়গোড় উদ্ধার করলে বাঘ রক্ষা হবে না। বাঘকে বাঁচাতে হলে কঠোর নজরদারি আর চোরা শিকারিদের দমন করতে হবে। অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী রাজনীতিক, বনদস্যু ও অসাধু বনকর্মীর সহযোগিতায় প্রায় সারা বছর সুন্দরবনে নির্বিচারে বাঘ-হরিণসহ বন্যপ্রাণী শিকার চলে। বাঘ-হরিণ শিকারের ২৫-৩০টি চক্র রয়েছে বলেও সূত্রটি জানায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনের চারটি রেঞ্জ-সংলগ্ন গ্রামগুলোয় একাধিক সংঘবদ্ধ বাঘ শিকারি দল রয়েছে। এদের অবস্থান বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী, বাগেরহাটের শরণখোলা, রামপাল, মংলা ও মোরেলগঞ্জ, সাতক্ষীরার আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালীগঞ্জ, খুলনার পাইকগাছা, দাকোপ ও কয়রা উপজেলায়।
সর্বশেষ বাঘশুমারি অনুযায়ী, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১০৬। গত ১১ বছরে বাঘের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমেছে।
সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম জানান, পূর্ব বন বিভাগ চোরা শিকারিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। সুন্দরবনের বাঘ, হরিণ, কুমিরসহ বন্যপ্রাণী রক্ষায় পূর্ব বন বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া জেলে-বনজীবীদের নৌকায় অত্যাধুনিক ট্র্যাকিং ডিভাইস ও মোবাইল নেটওয়ার্কিং চালু করা হলে সুন্দরবনের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোয় সার্বক্ষণিক নজরদারি সম্ভব হবে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট অ্যান্ড উড টেকনোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, বাঘ কমে যাওয়ায় সুন্দরবনের অস্তিত্বই আজ হুমকির সম্মুখীন। বাঘহীন সুন্দরবনের কথা কল্পনাই করা যায় না। কারণ বাঘের ভয়েই সুন্দরবন এখনো বৃক্ষহীন হয়নি। তিনি আরো বলেন, সুন্দরবনকে রক্ষার স্বার্থেই বাঘকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকেও বাঘ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীকে রক্ষায় সময়োপযোগী উদ্যোগ নেয়া অপরিহার্য।
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বনদস্যু, জলদস্যু ও বাঘ শিকারিদের ধরতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। এক্ষেত্রে পুলিশের সঙ্গে র্যাব, কোস্টগার্ড ও বিজিবি সমন্বিতভাবে কাজ করবে।

শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন বিধিমালা সংশোধন
কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হলে ২ লাখ টাকা অনুদান
শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন প্রণীত হয় ২০০৬ সালে। উদ্দেশ্য ছিল প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের কল্যাণে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা। এর চার বছর পর ২০১০ সালে আইনটি বাস্তবায়নে বিধিমালা করে সরকার। যদিও শ্রমিকের দুর্ঘটনাজনিত অক্ষমতা বা মৃত্যু হলে তহবিল থেকে কী পরিমাণ অনুদান দেয়া হবে, তা নির্দিষ্ট করা ছিল না বিধিমালায়। সম্প্রতি বিধিমালাটি সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত এ বিধিমালা অনুযায়ী, কর্মরত অবস্থায় কোনো শ্রমিক মারা গেলে ২ লাখ টাকা অনুদান পাবে ওই শ্রমিকের পরিবার। একই হারে অনুদান পাবে দৈহিক বা মানসিকভাবে অক্ষম শ্রমিকও।
গত ২৬ আগস্ট সংশোধিত শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন বিধিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। সংশোধিত বিধিমালায় অক্ষম শ্রমিক বা মৃত শ্রমিকের পরিবারকে ২ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান দেয়া ছাড়াও অসচ্ছল শ্রমিকের সন্তানদের উচ্চশিক্ষা চালিয়ে নিতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা সহায়তার বিধান রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে শ্রমিকদের বিশেষ দক্ষতার জন্য আর্থিক সহায়তার বিষয়টিও যোগ করা হয়েছে সংশোধিত বিধিমালায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার বলেন, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন যখন হয়, তখন এ তহবিলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অর্থ জমা ছিল না। এখন এর আকার বড় হয়েছে, তাই খরচের ব্যাপ্তিও বাড়ানো হয়েছে। আর তা কার্যকর হবে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী।
দেশে শিল্প দুর্ঘটনায় প্রতি বছরই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শ্রমিক হতাহত হচ্ছেন। গত বছরও শিল্পে কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনায় হতাহত হন প্রায় এক হাজার শ্রমিক। ২০১৩ সালে এ সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে যায়। ওই বছর কেবল রানা প্লাজা দুর্ঘটনায়ই প্রাণ হারান ১ হাজার ১৩৩ জন, যাদের বেশির ভাগই পোশাক শ্রমিক। এখন পর্যন্ত এটিই বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ শিল্প দুর্ঘটনা। এছাড়া ২০১২ সালে শিল্প দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা ছিল সাড়ে তিন শতাধিক। এর মধ্যে তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান শতাধিক শ্রমিক।
শ্রমিকের মৃত্যুর পর কোনো অনুদান বা সহায়তা দিয়ে ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয় বলে মনে করেন সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার। তিনি বলেন, পরিবারের ভরণ-পোষণের বিষয় বিবেচনায় অর্থসহায়তার বিষয়টি তার পরও চলে আসে। আর সে অর্থের উত্স যা-ই হোক না কেন, কোনোভাবেই এর পরিমাণ ২ লাখ টাকা হতে পারে না। ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ১২১ কনভেনশন অনুযায়ী। এ কনভেনশনে শ্রমিক কর্মক্ষমতা থাকার সময়সীমা হিসাব করেই পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। সরকার এখনো আইএলওর কনভেনশনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে এ ধরনের মানদণ্ড নির্ধারণ করতে পারেনি।
দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানে উত্পাদন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে লাভ হলে তার ৫ শতাংশ শ্রমিক কল্যাণে ব্যয় করার বিধান রাখা হয়েছে আইনে। এ অর্থের একটা নির্দিষ্ট অংশ সরকার গঠিত বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিলে জমা দিতে হবে।
২০১৩ সালে সংশোধিত শ্রম আইন অনুযায়ী, ১০০ টাকা লাভ থেকে যে ৫ টাকা শ্রমিক কল্যাণে ব্যয় হবে, তার ৮০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ তহবিলে দেয়ার পাশাপাশি ১০ শতাংশ (৫০ পয়সা) শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে জমা হবে। বাকি ১০ শতাংশ (৫০ পয়সা) প্রতিষ্ঠানের কল্যাণ তহবিলে রাখতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে সংশোধিত আইনে।
তবে অনেক প্রতিষ্ঠানই শ্রমিক কল্যাণ আইন ও তহবিল সম্পর্কে সচেতন নয়। প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশে শ্রমিকদের অংশীদারিত্বের বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী সহজভাবে নেন না। তাই সরকারি তহবিলে অর্থ জমা দেয়ার বিষয়ে খুব বেশি আগ্রহ দেখাননি ব্যবসায়ীরা। ফলে শুরুতে তেমন সাড়া পায়নি তহবিলটি। তবে এক বছরের ব্যবধানে তহবিলে জমার পরিমাণ ৬৬ কোটি থেকে বর্তমানে ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তহবিলে অংশগ্রহণ করা অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগই বহুজাতিক।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, তহবিলে অর্থ জমা দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— কোটস বাংলাদেশ লি., রেনাটা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লি., রেনাটা লিমিটেড, ফু-ওয়াং সিরামিক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ, নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেড, লাফার্জ সুরমা লিমিটেড, টিএম টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্টস লিমিটেড, সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড, রবি আজিয়াটা লিমিটেড, রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) লিমিটেড, আরএকে সিরামিকস (বাংলাদেশ) লিমিটেড, গ্রামীণফোন, হুয়াউই, টেকনোলজিস (বিডি), লিন্ডে বাংলাদেশ লি., ক্রাউন সিমেন্ট লিমিটেড, এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড, বার্জার পেইন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড, বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লি., হাইডেলবার্গ সিমেন্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লি. ও সিনজেনটা বাংলাদেশ লিমিটেড।
২০১৩ সালে আইন সংশোধনের পর সরকারি তহবিলে অর্থ জমা দেয়াসহ আইন প্রতিপালনে বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়। মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেয়ার তত্পরতাও শুরু হয়। তবে ফাউন্ডেশন কার্যকর করার বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। পাশাপাশি রয়েছে শ্রম আইন পরিপালনে ব্যবসায়ীদের অনীহা ও অসচেতনতা। তার পরও তহবিলটির আকার এখন ১০০ কোটি টাকারও বেশি। আর আকার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তহবিল থেকে খরচের পরিমাণও বাড়িয়েছে সরকার।
আইন মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চূড়ান্ত করা বিধিমালাটি গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে জানিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. ফয়জুর রহমান বলেন, সংশোধিত বিধিমালায় নতুন কিছু বিষয় আমরা যুক্ত করেছি। অসচ্ছল শ্রমিকদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা, কর্মদক্ষতা ও নারী শ্রমিকদের মাতৃত্ব কল্যাণে সহায়তাসহ কিছু বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া শ্রমিকদের সহায়তার সর্বোচ্চ সীমা কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে।
সংশোধিত বিধিমালায় বলা হয়েছে, শ্রমিক কল্যাণে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়, চিকিত্সক নিয়োগে বা মহামারীতে আক্রান্ত শ্রমিকদের মেডিকেল ক্যাম্প কিংবা ক্লিনিককে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়তা দেবে সরকার। অসচ্ছল শ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য ২৫ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া যাবে বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া উচ্চশিক্ষার জন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নসাপেক্ষে টিউশন ফি ও শিক্ষা উপকরণের জন্য সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা সহায়তা দেয়া যাবে। জরুরি চিকিত্সার জন্য শ্রমিকরা আবেদন করে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা সহায়তা নিতে পারবেন। তবে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা সহায়তার বিধান রয়েছে বিধিমালায়।
Videos (show all)
Contact the business
Telephone
Website
Address
Al Wajba
Umm Al Dom Muathir
Al Wajba, 11458
I am Mohammad Karibul, Managing Director of Marina limousine,
Al Wajba, 12300
QATAR MOVING SHIFTING Call- 30351054 Dear Sir/madam we are professional moving company Qatar we do
Doha
Al Wajba
hi der sir madam please chick my Qoutation Any information : WhatsApp (only click this link) https: