Your Best Choice

🔰 কাঁধ বা শোল্ডার আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা সকল কাজের ক্ষেত্রে হাতের সাহায্য নিয়ে থাকি। হাত নাড়াচাড়ার সঙ্গে কাঁধের নাড়াচাড়া খুবই স্বাভাবিক। এজন্য কাঁধের কোনো সমস্যা বা ব্যথা হলে তা থেকে হাতের মুভমেন্ট বাধাগ্রস্ত হয়। আর গঠনগত ভাবে কাঁধ আঘাতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

🔰 কাঁধে ব্যথার কারণ কি ?
যে কোনো অঙ্গে কারণ ছাড়াও ব্যথার মূল তিনটি কারণ হচ্ছে ,
⭕ মাংসপেশী বা লিগামেন্টস ইনজুরি,
⭕ হাড় ভেঙে যাওয়া বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া
⭕ স্নায়ুতে চাপ পড়া ।

👉 কাঁধে ব্যথা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। ফ্রোজেন শোল্ডার অন্যতম একটি। ফ্রোজেন শোল্ডার কাঁধের একটি সাধারণ সমস্যা। এক্ষেত্রে কাঁধের জয়েন্টে প্রথম দিকে ভেতরের আবরণীতে প্রদাহ হয়ে ব্যথা অনুভূত হয়। ফলে হাত নাড়াচাড়া করা থেকে বিরত থাকেন আক্রান্ত ব্যক্তি। দীর্ঘদিন এই সমস্যা থাকলে কাঁধের জয়েন্ট শক্ত হয়ে যায়। তখন চাইলেও নাড়ানো যায় না। প্রচণ্ড ব্যথা হয়।

👉 আপনারা জেনে খুশি হবেন, যখন আমি এই পোস্টটি লিখছি তখন আমাদের সিঙ্গাপুরের মালিশ ব্যাবহার করে অনেকেই ফ্রোজেন শোল্ডারের ব্যাথা হতে মুক্ত হয়েছেন। বিশেষকরে একজন বৃদ্ধা মহিলার কথা মনে পড়ে ,তিনি অনেকদিন এই ব্যাথায় কষ্ট করেছেন তার কাঁধের জয়েন্ট শক্ত হয়ে গিয়েছিল। এরপর তিনি এটি ব্যাবহারের পর অনেক আরাম পেয়েছেন এবং আমাদের জন্য দোআ পাঠিয়েছেন।

🔰 দিনশেষে গ্রাহকের সন্তুষ্টি আমাদের প্রাপ্তি।। আল্লাহপাক আমাদের যাবতীয় রোগ হতে সুস্থ রাখুন। আমীন ।।

⭕ হাতের কব্জি থেকে হাতের তালু ও আঙুলগুলো অবশ হয়ে আসা, ঝিনঝিন করা, আবার কখনো ব্যথা হওয়া বা ফুলে যাওয়া।এই সমস্যা গুলো সাধারণত যে রোগের কারণে দেখা যায়, তার মধ্যে অন্যতম হলো কারপাল টানেল সিনড্রোম। নারীদের মধ্যে এই রোগ হওয়ার প্রবণতা বেশি। বিশেষ করে গর্ভকালীন ও মেনোপজ-পরবর্তী সময়ে এ সমস্যা বেশি দেখা দেয়।

🔰 কেন হয়?
একই ধরনের হাতের কাজ বারবার করার কারণে টানেলের ওপর চাপ পড়ে। যেমন- কম্পিউটারে সারাদিন মাউস ধরে কাজ করা বা কির্বোডে টাইপ করতে থাকা, লেখালেখি করা, সেলাই করা, টেনিস খেলা, গলফ খেলা বা বেহালা বাজানো ইত্যাদি।

🔰 লক্ষণ
আঙুল ঝিনঝিন বা অবশ ভাব, জ্বলে যাওয়া, খাবার খেতে, হাত মুষ্টিবদ্ধ করতে বা কোনো জিনিস ধরতে সমস্যা। লক্ষণগুলো রাতে বেশি দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি হয় হাতের বুড়ো আঙুল, তর্জনী ও মধ্যমাতে। ঝিনঝিন অনুভূতি ও ব্যথার কারণে রাতে ঘুম ভেঙে যায়, যা হাতে ঝাঁকুনি দিলে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। এসব লক্ষণ ওপরের দিকে ছড়িয়ে বাহুতে চলে যেতে পারে। চিকিৎসা না করালে আঙ্গুলের মাংসপেশি শুকিয়ে যেতে পারে।

🔰 চিকিৎসা
কারপাল টানেল সিনড্রোমের চিকিৎসায় স্নায়ুর ব্যথা কমানোর জন্য ব্যাথ্যানাশক ঔষুধের পরির্বতে প্রাকৃতিক উপায়ে ব্যাথা কমানোর চেষ্টা করা। এক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরের মালিশটি র্কাযকরী ভুমিকা রাখতে সক্ষম। পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা এবং হাতের বিশ্রামের জন্য স্ল্পিন্ট ব্যবহার করতে হয়। এই রোগে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা খুবই উপকারী। ফিজিওথেরাপি চিকিৎসায় সম্পূর্ণ নিরাময় না হলে কখনো কখনো সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।

🔰 বিশেষ পরামর্শ
এই রোগের ফাস্ট স্টেপেই চিকিৎসা গ্রহন করা হলে এটা খুব দ্রুতই সেড়ে যায়। তাই লক্ষণ দেখা দিলে দেরী না করে ব্যথা কমানোর জন্য লিনিমেন্ট এবং নিকস্থ ফিজিওথেরাপি সেন্টার হতে থেরাপি গ্রহন করুন ।।

⭕যাঁরা টেবিলে বসে দীর্ঘক্ষণ কাজ করেন, লেখেন কিংবা কম্পিউটারে টাইপ করেন, তাঁরা প্রতি ৩০ মিনিট পরপর সামান্য বিরতি নিতে পারেন। হাতের বাহু যেন কাজের সময় বিশ্রামে থাকে। টেবিল ও হাতের ব্যবধান ঠিক করে নিন, যাতে হাত টেবিলের সমান্তরালে থাকে। মাঝেমধ্যে টাইপ করা বা লেখার বিরতিতে বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের নির্দেশিত হাতের ব্যায়ামগুলো করুন।
লেখক : ডা. এম ইয়াছিন আলী