Nayeem Nafe
Enjoy Yourself
I have reached 100 followers! Thank you for your continued support. I could not have done it without each of you. 🙏🤗🎉
হিংসা মানুষের নেক আমল কে ধ্বংস করে, আর মিথ্যা মানুষের হায়াত কে কমিয়ে দেয়।
- হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)
ইউনিভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ার থেকে থার্ড ইয়ার—গবেষণা নিয়ে অস্থিরতার কোন কারণ নেই। গবেষণার প্রতি তোমার ইচ্ছে আছে—খুবই ভালো কথা। বাট ডোন্ট বি ক্রেজি।
আন্ডারগ্রেজুয়েট রিসার্চ হয় ফোর্থ ইয়ারেই।সারা দুনিয়াতেই স্টুডেন্টরা গবেষণার প্রাথমিক ধারণা বা প্রাথমিক ধাপ শুরু করে আন্ডারগ্রেডের ফাইনাল ইয়ারেই।
তাহলে ফার্স্ট ইয়ার থেকে থার্ড ইয়ার পর্যন্ত ফোকাসটা কি হবে?
প্রথম ফোকাস, এই তিন বছরে যতো কোর্স থাকে সেগুলো থেকে কোন কোর্সগুলো বেশি ভালো লাগে সেটা বাছাই করা। কোন এরিয়াতে তোমার পড়তে, বুঝতে, ভাবতে বেশ সাচ্ছন্দবোধ করো—সেটা চিহ্নিত করা। যেসব কোর্স ভালো লাগে অন্তত সেগুলোতে ভালো গ্রেড তোলার চেষ্টা করো।
বাংলা-ইংরেজি ছাড়াও অন্য একটা ভাষা শেখার জন্য সময় দেয়া। ইংরেজিতে মৌলিক লেভেলে দুর্বলতা থাকলে সেটা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করা।
কম্পিউটারের মৌলিক কাজগুলো জানা। দ্রুত টাইপ করতে পারা। ভালো প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে শেখা। ডেটা অর্গানাইজ করতে শেখা। এক্সেলের মাধ্যমে ভালো গ্রাফ, চার্ট তৈরি করতে শেখা। যেই ফিল্ডেই পড়াশুনা করো না কেন—এই মৌলিক বিষয়গুলো লাগবেই।
ভালো ই-মেইল লিখতে শিখো। প্রেজেন্টেশন স্কিল বাড়াও।
জিআরই/টোফেল/আইএলটিএস—এগুলো নিয়ে সময় দাও অল্প অল্প করে। এমনভাবে প্রস্তুতি নাও যেনো আন্ডারগ্রেড শেষ হলেই এগুলোর স্কোর নিতে পারো।
এই কয়েকটা বিষয় যদি ঠিকমতো গুছাতে পারো—তোমার জন্য বহু অপরচুনিটি অপেক্ষা করছে।
…………………..
ALAM
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা এমন একটা অসুস্থ সমাজের জন্ম দিচ্ছি যেখানে পুরোপুরি সত্য কথা বললে বিপদ; আবার পুরোপুরি মিথ্যা কথা বললেও ভুল। কিন্তু আপনি যদি সত্যের সাথে একটু করে মিথ্যে মিশিয়ে দিতে পারেন তাহলে আপনি হিট। ব্যাপারটা দুঃখজনক এবং উদ্বেগজনক।
Dr. Shawon
শিক্ষার্থীদের কাছে এই ৫টি অ্যাপ্স থাকা উচিত
১. photomath: হঠাৎ গণিতের একটা প্রশ্ন সমাধান করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লেন। ঐ সময় আপনার সাথে কেউ নেই যে আপনাকে বুঝিয়ে দেবে। এমতাবস্থায় এই অ্যাপে গিয়ে প্রশ্নটির একখানা ছবি তুইলেই সাথে সাথে স্টেপ বাই স্টেপ সলিউশন দেবে এই অ্যাপটি।
২. Buddytalk : ইংরেজি শিখতে গেলে কথা বলার কোন বিকল্প নেই৷ কিন্তু আমরা সচরাচর কথা বলতে পারি না কথা বলার পার্টনার না পাওয়ায়। তাই আমাদের ইচ্ছা থাকলেও উপায় না থাকার কারণে আমরা ইংরেজিতে কথা বলতে ভয় পাই। এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি ইংরেজিতে কথা বলার পার্টনার খুজে পাবেন।
৩. Moon+Reader :মোবাইলে কিংবা ট্যাবে বই পড়ার জন্য এর চেয়ে ভালো অ্যাপ আছে কিনা আমার জানা নেই। এই অ্যাপটির সাইজও খুব কম। অ্যাপের মাঝেই আপনি খুজে নিতে পারেন আপনার পছন্দের বইটি। এই অ্যাপটি ফোনে থাকা মানে আস্ত একটা লাইব্রেরি থাকা।
৪. Robi 10 Minute School: শীঘ্রই এইচ-এসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কেমন হয় যদি হাতের কাছের মোবাইল ফোনটা দিয়ে মডেল টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়া যায়৷ এই অ্যাপটি আপনার পড়াশোনা কিছুটা হলেও সহজ করে দিবে। আপনি যে গ্রেডেরই হন না কেন আপনার জন্য এডুকেশনাল কন্টেন্ট রয়েছে এই অ্যাপে।
৫. Camscanner: বন্ধুর কাছে তার নোট খাতাটা ধার নিলেন। তো তার নোটখাতাটি তাকে দিয়ে দেওয়ার আগে আপনি যদি দ্রুতই তার নোট খাতাটির একটা পিডিএফ ফাইল তৈরি করে নিজের ফোনে রাখেন তাহলে কেমন হয়? এই অ্যাপটি আপনাকে যেকোনো ডকুমেন্ট স্কান করে দিতে পারবে। একেবারে কম্পিউটারের স্ক্যানারের মতো।
সংগৃহীত
👽👽👽
দুইটা গল্পঃ
১। ইয়াহু নামমাত্র দামে গুগলকে কিনে ফেলার প্রস্তাব পেলেও কিনেনি।
২। নোকিয়া এন্ড্রোয়েডকে কিনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলো।
শিক্ষণীয়ঃ
১। সময়ের সাথে নিজেকে আপডেট রাখুন, নয়তো আপনি অচলের হিসেবে নাম লেখাবেন।
২। কোন রিস্ক না নেওয়াটা হচ্ছে বড়ো রিস্ক। নতুন রিস্ক গ্রহণ করুন এবং সব সময় আপডেট থাকুন।
আরো দুইটা গল্পঃ
১। গুগল দুইটা সম্ভাবনাময়ী প্রজেক্ট ইউটিউব এবং এন্ড্রোয়েডকে কিনে নিয়েছে।
২। ফেসবুকে কিনে নিয়েছে ইন্সট্রাগ্রাম এবং হোয়াটসএপকে।
শিক্ষণীয়ঃ
১। শত্রুকে ঘৃণা না করে তার সাথে সংযুক্ত হয়ে আরো শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করুন।
২। দ্রুত এগিয়ে যান এবং শত্রুকে প্রতিহত করার চেষ্টা করুন।
আরো দুইটা গল্পঃ
১। বারাক ওবামা একজন আইসক্রিম বিক্রেতা ছিলেন।
২। এলন মাস্ক ছিলেন একজন লকার রুম গার্ড।
শিক্ষণীয়ঃ
১। ব্যাক্তিকে তার পূর্বের কাজের মাধ্যমে যাচাই করবেন না।
২। আপনার বর্তমান অবস্থা আপনার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে না। ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে আপনার চেষ্টা এবং পরিশ্রম।
আরো দুইটা গল্পঃ
১। কর্নেল স্যান্ডার্স ৬৫ বছর বয়সে KFC প্রতিষ্ঠা করেন।
২। জ্যাক মা কেএফসিতে চাকুরির আবেদন করেও কম যোগ্যতা সম্পন্ন মনে করায় চাকুরি পাননি।
শিক্ষণীয়ঃ
১। বয়স শুধু একটি সংখ্যা মাত্র, আপনি যে কোন বয়সেই সফল হতে পারেন।
২। কখনো হার মানবেন না। তারাই হেরে যায় যারা মেনে নেয়।
শেষ দুইটা গল্পঃ
১। Ferrari এর মালিক একজন ট্রাক্টর তৈরি করার কারিগরকে অপমান করেছিলেন।
২। সেই ট্রাক্টর তৈরি করার কারিগর Lamborghini প্রতিষ্ঠা করেন।
শিক্ষণীয়ঃ
১। কাউকে অবজ্ঞা করবেন না।
২। সফলতা হচ্ছে সর্বোত্তম প্রতিশোধ।
আপনি যে কোন বয়সেই সফল হতে পারেন। এর জন্য কোন বয়স কিংবা কোন ব্যাকগ্রাউন্ড বাধ্যতামূলক নয়।
(Collected)
জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো থামতে শিখা। —How to stop? —When to stop? আত্মনিয়ন্ত্রণ। আত্মনিয়ন্ত্রণ করতে শিখলে জীবন হয় গৌরবের।
আপনি খাচ্ছেন। কিন্তু বুঝতে হবে কখন থামবেন। তা না হলে সমস্যা। যে খাবার আপনাকে বাঁচিয়ে রাখে, সে খাবার আপনাকে মেরেও ফেলবে। খাবার যেমন রোগ মুক্তি দেয়, খাবার তেমনি রোগেরও কারণ। কি খাবো, কতটুকু খাবো—সেটার জন্য চাই নিয়ন্ত্রণ।
বিশ্রাম জীবনের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু শিখতে হবে কতটুকু বিশ্রাম করবেন। শিখতে হবে কখন বিশ্রাম থেকে বিরতি নিতে হবে। সেটা না জানলে, আলস্য ভর করবে। আলস্য জীবন ধ্বংস করে।
টিভি দেখবো, ফোন দেখবো। বিনোদন প্রয়োজন। কিন্তু কখন বন্ধ করতে হবে, সেটা শিখতে হবে। তা না হলে, কাজের ক্ষতি হবে। কাজের ক্ষতি হওয়ার অর্থ জীবন ক্ষতি হওয়া।
ক্রোধ ছাড়া মানুষ হয় না। রাগ ছাড়া মানুষ হয় না। তবে সেই মহান, যে ক্রোধের দমন করে। ক্রোধের দমন ছাড়া ভালো মানুষ হওয়া, বড়ো মানুষ হওয়া অসম্ভব।
কথা বলা জরুরি। ভাব প্রকাশের জন্য কথা বলতেই হবে। তবে শিখতে হবে কখন থামতে হবে। কথা মুখ থেকে বের হয়ে গেলে আর ফিরিয়ে নেয়া যায় না। ভাষার অপব্যবহার মানুষের ইমেইজকে ধ্বংস করে।
ভালো ড্রাইভার কাকে বলে? —যে হাই স্পিডে গাড়ি চালাতে পারে, সে কিন্তু ভালো ড্রাইভার না। ভালো ড্রাইভার হলো, যে গাড়ি চালানোর সময় আত্মনিয়ন্ত্রণ রাখে। যে বুঝে কখন থামতে হবে। কিভাবে থামতে হবে। যে সাইন দেখে, পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে—সেই ভালো চালক। জীবনের বেলাতেও তাই।
আত্মনিয়ন্ত্রের জন্য চাই চর্চা। চাই শিক্ষা। চাই সান্নিধ্য। জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই শিক্ষা কিন্তু স্কুল-কলেজের সব বইয়ে থাকে না। অথচ শিখতে হয়।
…………...........
Alam
একজন বোনের চমৎকার একটি লিখা
_____________________________________
আমার যখন বিয়ে হয়েছিলো, আমি জানতাম আমার উপর আমার শাশুড়ির খেদমাত করা ফরজ নয়, এমন কি বলতে গেলে এটা আমার দায়িত্ব ও নয়। তারপরো আমি আমার সাধ্যমত তাঁদের খেদমাত করেছি। শাশুড়ির পছন্দে রান্নাকরা সহ তাঁকে নিজহাতে গোসল করিয়ে দেয়া, তাঁর চুল আঁচড়ে দেয়া, নখকেটে দেয়া সব কিছুই করেছি, অনেক কিছু আমার সাধ্যেরও বাইরে গিয়ে করেছি। শুধু শাশুড়ির-ই নয়, আমার ননদ,তাঁরা বেড়াতে এলে আমার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে তাঁদের সেবা করার চেষ্টা করেছি। আজ সময়ের ব্যবধানে আমরা কেউ আর কাউকে একটি নজর দেখার ও সুযোগ পাচ্ছি না। সে কষ্টের দিনগুলো (যেহেতু আমি বাবার বাসায় কোনো কাজ-ই করতামনা, তাই আমার জন্য ঐ দিনগুলো ছিলো খুবই কষ্টের!) হয়তো
হারিয়ে গেছে কিন্তু যা রয়ে গেছে তা হচ্ছে দুয়া ও ভালোবাসা।
মনে আছে একদিন আমি রান্নাঘর থেকে ফিরে দেখি আমার দুই ননদ কিছু একটা নিয়ে হাসছেন। আমি জিজ্ঞেস করতেই বড় আপা সরল উত্তর দিলেন, " শুনেছিলাম শিক্ষিত মেয়েরা বেয়াদব হয়, শশুর শাশুড়ির খেদমাত করেনা, বড়দের সন্মান করেনা। কিন্তু তুমি সেরকম না"! আমি তো লা জবাব! কী বলবো !! যা বলবো তা বলতে গেলে যদি কোনো কষ্ট দিয়ে ফেলি?! শুধু বললাম "সত্যিকারের শিক্ষা তো মানুষ কে বেয়াদব করেনা, বরং আরো বেশি বিনয়ী করে.."
আরেকদিনের ঘটনা, আমার বিয়ের পরপরই; আমার হাসব্যান্ড আমার জন্য ঢাকা থেকে একটা গিফট নিয়েছিলো (সম্ভবত স্কার্ফ ) , আমার শাশুড়ি তখন বাসায় । আমি অবাক হয়ে গেলাম যে আমার জন্য একটা গিফট আনলো অথচ মা'য়ের জন্য আনলো না, (মানুষ টাকে তো আমি তখনো চিনিনি যে একেকবার একেকজনের জন্য এনে অন্য দেরকে "sorry, তোমাদের জন্য এবার কিছু আনলাম না" বলাই ওর স্বভাব! এবং এখনো ও এরকমই! )
আমি ওকে বল্লাম, আমি এটা এখন পারবো না, আগে মা'য়ের জন্য আনো...""- আমার নিজেকে তখন অপরাধী মনে হচ্ছিলো। আমি জানিনা ঘটনাটা ওর মনে আছে কি না, ওর অন্যদিকে ফিরে চোখ মোছাটা কিন্তু আমার দৃষ্টি এড়ায় নি!!..........
আমি বিয়ের পর যখন প্রথম স্কলারশীপের টাকা পাই, তখন সম্পূর্ণ টাই শাশুড়ি ও অন্যদের জন্য খরচ করি, গিফট করি। উনারা বললেন ,"তোমার বাবা মা তোমাকে পড়িয়েছেন, তাঁদের-ই তো হক্ব বেশি, আমি বললাম ,"উনাদেরকে তো আগেও দিয়েছি, আপনাদেরকে দেয়ার জন্য আর পাবো কি না তা তো জানি না.." সেই শাশুড়ি আমার এখন আর বেঁচে নেই, আমার ননদের ও এখন আর আমার বাসায় আসার সময়/সুযোগ নেই। যেটা আছে, সেটা হচ্ছে ভালোবাসা, ভালো ধারনা!
মাঝে মাঝে মনে হয় আমার শাশুড়িকে বোধহয় আমার মায়ের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। আজো মুনাজাতে এ চোখের পানি ফেলে তাঁর জন্য দুয়া করি। ঐ সামান্য খিদমাতের বিনিময়ে যে ভালোবাসা পেয়েছি, তা-ই হয়তো এখনো আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। মনে আছে যখন প্রথম বাচ্চাটার জন্য রাতে ঘুমাতে পারতাম না, আমার শাশুড়ি মা ভোরে চুপি চুপি আমার ভাগ্নি কে ডেকে তুলতেন নাস্তা বানানোর জন্য, আমি টের পেলেই আমি উঠে যাবো,
সেজন্য নিঃশব্দে কাজ করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাতেন। এরকম ভালোবাসা দেয়ার মত শাশুড়ি আমাদের ঘরে ঘরেই আছেন, আমরা সে ভালোবাসাটা আদায় করে নিতে জানি না শুধু! আমরা বাইরের মানুষ গুলোর কাছে নিজেকে 'well mannered' প্রমাণিত করার জন্য কত স্যাক্রিফাইস-ই না করি, কিন্তু এই একটা প্রসংগ এলেই কেন জানি নানান প্রশ্ন তুলি, ভীষণ নারীবাদী ও অধিকার সচেতন হয়ে উঠি! ইসলামের কোথায় লিখা আছে শশুর-শাশুড়ির খেদমাত করা জরুরী নয় সে দলীল খুঁজি, অথচ আমাদের শাশুড়িরাও যে আমাদেরকে ভালোবাসেন, আমাদের সন্তানগুলো কে লালন পালনে সহযোগিতা করেন, আমাদের অনেকেই জব করি বা বাইরে সময় দেই, সেক্ষেত্রে তাঁরাই তো আমাদের সংসারটা সামলান। অন্তত দেখে রাখেন।
কারো কারো ক্ষেত্রে হয়তো ব্যতিক্রম ও থাকতে পারে, কিন্তু অধিকাংশ ঘরেই এখন এই দৃশ্যগুলোই চোখে পড়বে বেশি। তখন কিন্তু আর আমরা কুরআন হাদিসের দলীল খুঁজি না যে কোথায় আছে শাশুড়ি বৌকে রান্না করে খাওয়াতে হবে, কোথায় আছে বৌর কষ্ট হবে বলে শাশুড়ি আর কোথাও যেতে পারবেনা। এই বেলায় কিন্তু আমরা ঠিকই 'মনুষের জন্য মানুষ' -বুঝি। এই ক্ষেত্রে আমরা ঠিকই বুঝি 'শাশুড়ি বৌয়ের কষ্ট না বুঝলে তিনি কিসের শাশুড়ি, তিনি মানুষ না' ! অথচ মাস শেষে বেতনটা হাতে পেলে আর আবার অধিকার বোধ জেগে উঠে, ১০টাকার একটা চুলের ব্যান্ড কিনে দিতেও আমি রাজী না, কেন দিব শাশুড়ি কে ,'আমার বেতনে কি শাশুড়ির হক্ব আছে?' ...ইত্যাদি।
আসলে বর্তমান নীতি বিবর্জিত শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষালাভ করে আমরা qualified হচ্ছি, মোটা বেতনে চাকুরীর সুবাধে জামাইর কাছ থেকে হয়তো বাড়তি সন্মান (!) পাচ্ছি, কিন্তু 'সত্যিকারের মানুষ হতে আর পারছি না' !!!
©PC🔥™ collected
"৫ বছরের ছোট্ট ছেলে টম (ছদ্মনাম) আমাদের প্রতিবেশী। বাবা কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগে পিএইচডি গবেষক, মা মাস্টার্স করছে।
টম একটি পিয়ানো কিনবে, তাই সে অর্থ জমাচ্ছে। ৫ পাউন্ডের বিনিময়ে সাইকেল পরিষ্কার করবে বলে আমাদের বিল্ডিংয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে।
আমি জানি টমের বাবা তার একমাত্র সন্তানকে একটি পিয়ানো উপহার দেয়ার সক্ষমতা রাখেন। কিন্তু তিনি চান পরিশ্রম করে তার ছেলে সেটা অর্জন করুক। এর মাঝে বেশ কিছু শিক্ষা আছে টমের জন্য:
১. শখ পূরণ করতে অর্থ লাগে, আর অর্থ উপার্জনের জন্য পরিশ্রম করতে হয়।
২. সৎ পথে অর্থ উপার্জনে যেকোনো কাজে কোনো লজ্জা নেই।
৩. কষ্ট করে কিছু অর্জন করার মাঝে আলাদা আনন্দ ও গৌরব আছে।
আমি নিশ্চিত টম বড় হয়ে একদিন বিশ্বের সব চেয়ে ধনী ও ক্ষমতাবান ব্যক্তি হলেও রাস্তার পাশের একজন চা বিক্রেতাকে ছোট করে দেখার সাহস পাবে না।
আমি ভাবছিলাম আমাদের কথা। আমাদের সন্তানেরা চাওয়ার আগেই সব পেয়ে যায়। তাদেরকে মানুষ বানাতে পারছি তো?"
লিখেছেন: Dr Mohammad Ali Kochi
ইন্টারমিডিয়েটে আমার পাশে এক হিন্দু মেয়ে বসে পরীক্ষা দিচ্ছিল। পরীক্ষা শেষে প্রতিদিনই বলতো সব উত্তর দিয়েছি। আমাকে জিজ্ঞেস করলে মান সম্মানের খাতিরে বলতাম আমিও সব উত্তর দিয়েছি।
এদিকে পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষায় এমসিকিওতে পাকনামি করে অন্যর সেট ঘষেছিলাম। আমি না, পুরো রুমই।তারা নাকি উত্তরপত্র সহ আগেই প্রশ্ন পেয়েছিল।
শেষ পরীক্ষায় মেয়েটা বলল, গোল্ডেন না থাকলেও অন্তত ১০০% এ+ থাকবেই। আমি কম কিসে! আমি বললাম, আমার গোল্ডেন থাকার কথা।
রেজাল্টের কয়েকদিন পরে মেয়েটার সাথে দেখা।
-কি খবর? কেমন আছেন? রেজাল্ট কি?
-এইতো ভাল আছি৷ এ+ আসছে। আপনার কি খবর নীল দাদা?
- আপনার মতই। কোথায় ভর্তি হবেন?
-আশাতো আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আপনার?
-ইনশাআল্লাহ, বুয়েট অথবা বুটেক্স।
-ওকে দাদা। ভাল থাকেন।
-ওকে।
দুঃখের কপাল!
পরের বছরও পদার্থবিজ্ঞান আবার পরীক্ষা দিতে হয়েছিল।
সিটও তার সাথে পড়েছিল।
সারাক্ষণ কেউ কারো দিকে তাকাইনি।
পরীক্ষা শেষে যাওয়ার সময় দুজনই হাসি চেপে বাইরে বেরিয়ে এসেছিলাম।
চাঁপাবাজ।
আরিফুল।
বইপড়ুয়াদের জন্য ইংরেজি কিছু শব্দের বঙ্গানুবাদ
1.Dog's ear- বই পড়তে পড়তে পৃষ্ঠার উপরদিকে এক কোনা ভাঁজ করে রাখলে ওই ভাঁজটাকে বলে সারমেয়কর্ণ।
2.Librocubicularist- বিছানায় শুয়ে শুয়ে যে বই পড়ে।
3.Epeolatry- শব্দের পূজা করে যে ব্যক্তি, শব্দের সৌন্দর্য যার ধ্যানজ্ঞান। মূলত: লিঙ্গুইস্টরা এই দলে পড়েন।
4.Logophile- যে ব্যক্তি শব্দ/জ্ঞান ভালোবাসে
5.Bibliosmia- পুরাতন বইয়ের গন্ধ
6.Book Bosomed- বই ছাড়া এক মুহূর্তও যে থাকতে পারেনা। এই যেমন আমি 🥴
7.Omnilegent- জাত পাত নির্বিশেষে সব ধরণের বই যে পড়ে
8.Ballycumber- অর্ধেক পড়া হয়েছে এমন বই
9.Tsundoku- জাপানী শব্দ।একগাদা বই কেনা কিন্তু না পড়ে বাসায় জমিয়ে রাখার অভ্যাস।
10.Princep- যেকোনো বইয়ের প্রথম ছাপা কপি।
11.Sesquipedalian- যে শব্দে অনেকগুলো সিলেবল আছে, যেমন এই শব্দটা:সেস/কুই/পে/ডা/লি/আন।
12.Colophon বইয়ের যে অংশে পাবলিশারের লোগো দেখা যায়
13.Biblioclasm- জেনে শুনে বই ধ্বংস করা, পুড়িয়ে ফেলা। আমার মতে মৃত্যুদন্ডযোগ্য অপরাধ 🤬
14.Fascile- একটা বইয়ের বিভিন্ন খন্ড।যেমন, রবীন্দ্র রচনাবলীর প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ইত্যাদি খণ্ড
15.Afficted- একটা বই পড়ার পর কাঁদতে ইচ্ছে করছে কিন্তু আশেপাশে লোকজন থাকায় কাঁদতে পারছেনা- এই অনুভূতি
16.Bookklempt- একটা বই পড়ে শেষ করেছেন, জানেন যে এর পরে নতুন কোনো এপিসোড নাই, তবুও বইটার এন্ডিং হজম করতে পারছেন না- এই অনুভূতি।
17.Chaptigue- সারারাত না ঘুমিয়ে বই পড়ে সকাল বেলা যে ক্লান্তি বা ফ্যাটিগ অনুভূত হয় সেটি
18.Delitrium- নতুন বই কিনে ওটার ঘ্রাণ নিলে যে অনির্বচনীয় আনন্দ হয় ওটা।
19.Madgedy- একই ট্রাজেডি বা দু:খের বই বারবার পড়া কিন্তু আশা করা যে এবার এন্ডিং অন্যরকম হবে। আমি ডিকেন্সের আ টেল অফ টু সিটিজ সাতবার পড়েছি এই আশায়। এদিকে আমার ছোটভাই সিফাত একটা ইতালিয়ান সিনেমা ৪৩ বার দেখেছে।ওখানে একটা সীন আছে, মনিকা বেল্লুচ্চি নদীর পানিতে নেমে স্নান শুরু করে, উপরের ব্রিজ দিয়ে ট্রেন চলে যায়।ওর আশা, একদিন না একদিন ট্রেন একটু লেইট করবে 😂
20.Rageammed- ধরুন একটা বই পড়ে আপনার খুব ভালো লেগেছে, বইটা আপনি বন্ধুবান্ধবকে পড়তে বললেন। তারা জানালো, বইটা তারা পড়েছে কিন্তু একটুও ভালো লাগেনাই। এটা শুনে তাদেরকে মাথার উপরে তুলে আছাড় মারার যে ইচ্ছাটা জাগে, এটা সেই অনুভূতি। এই যেমন আমি ছোটভাই রিফাতকে Brokeback Mountain আর Call Me By Your Name দেখতে বলেছি, সে বলেছে যে মুভিগুলো নাকি ভালো না- রিয়েল লাইফ নাকি আরো গভীরে যায়, এটা শুনে আমার এরকম অনুভূতি হয়েছিল
21.Swapshame- একটা বই পড়তে পড়তে আপনার মনে হল আরে, আরো ভালো একটা বই আছে ওটা পড়া দরকার। এদিকে প্রথম বইটা ছাড়তেও মন চাইছেনা- এই অনুভূতিটা হচ্ছে
22.Mehnertia- একটা বই অনেকদূর পড়ে আবার প্রথম থেকে শুরু করা, কারণ আগে কি পড়েছেন তা ভুলে গিয়েছেন।ওয়ার এন্ড পিস বা লা মিজারেবল পড়তে গেলে এইটা হবার কথা।
নিন, এবার এগুলো প্রয়োগ করুন, আর বেশি বেশি বই পড়ুন।
-মূল লেখকের নাম জানা নেই। লেখাটি অনুবাদ করেছেন মাশরুফ হোসাইন।
ধরো, একটা মানুষ তোমার প্রতি দুর্বল। সেই মানুষটার প্রতি তুমি প্রথম থেকে শেষঅবধি খুবই কঠোর!
আমরা তো অসীম সময়ের জন্য দুনিয়াতে আসিনি, কিছুটা সময়ের জন্য এসেছি।
একদিন তোমার প্রতি দুর্বল-থাকা মানুষটা তোমার কাছ থেকে অনেক দূরে সরে গেল। এতে করে কী হলো জানো? তুমি চিরকালের জন্য জিতে গেলে।
প্রথম থেকে শেষঅবধি জিত কিন্তু তোমারই। সেই মানুষও তোমাকে জিতিয়ে রাখল। তুমিও তোমার সিদ্ধান্তে প্রথম থেকে অটল থেকে গেলে। কে জিতল তবে? অবশ্যই তুমি!
বিরক্তি, ভালোবাসা, অবহেলা...একেকটা আলাদা আলাদা বিষয়।
যে আমাদের জিতিয়েই রাখে প্রতিযোগী না ভেবে, আমরা কিনা তার কাছেই জিতে যাই! খুব কি জিত এতে?!
অবহেলা জিনিসটা তুমি কেবল তাকেই দিতে পারবে, যে এক তোমাকেই তার পৃথিবী বানিয়ে বসে আছে। তা ছাড়া রাস্তাঘাটের কোনও লোক কিংবা তোমাকে যে ভালোই বাসে না, তাকে ডেকে সেধেও কিন্তু অবহেলাটা তুমি দিতে পারবে না। চাইলেও না। জোর করেও না।
ভালোবাসা নিয়ে অনেক কিছু বলো তুমি সবসময়। তোমার যুক্তি যেমন সঠিক, ঠিক তেমনি তোমাকে যে ভালোবাসে, তার ভালোবাসাটাও কিন্তু মিথ্যে নয়!
Sushanta Paul
ফ্রান্সের ফ্রাঁসোয়া মিত্রা প্রেসিডেন্ট পদে থাকেন ১৯৮১-১৯৯৫ সাল পর্যন্ত। তিনি তার পদে থাকাকালীন সময়ে আশির দশকের শেষের দিকে ফিরাউনের মমিকে আতিথেয়তার জন্য মিসরের কাছে অনুরোধ জানালেন। ফ্রান্স তাতে কিছু প্রত্নতাত্তিক গবেষণা করতে চাইল। মিসরের সরকার তাতে রাজি হল।
কাজেই কায়রো থেকে ফিরাউনের যাত্রা হল প্যারিস! প্লেনের সিড়ি থেকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট, তার মন্ত্রীবর্গ ও ফ্রান্সের সিনিয়র অফিসারগণ লাইন দিয়ে দাড়ালেন এবং মাথা নিচু করে ফিরাউনকে স্বাগত জানালেন!!
যখন ফিরাউনকে জাঁকালো প্যারেডের মাধ্যমে রাজকীয়ভাবে বরণ করে, তার মমিকে ফ্রান্সের প্রত্নতাত্তিক কেন্দ্রের একটা বিশেষ ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হল, যেখানে ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় সার্জনরা আছে এবং তারা ফিরাউনের মমিকে অটপ্সি (ময়নাতদন্ত) করে সেটা স্টাডি করবে ও এর গোপনীয়তা উদঘাটন করবে।
মমির উপর গবেষণার জন্য প্রধান সার্জন ছিলেন প্রফেসর মরিস বুকাইলি। থেরাপিস্ট যারা ছিলেন তারা মমিটাকে পুনর্গঠন (ক্ষত অংশগুলো ঠিক করা) করতে চাচ্ছিল, আর ডা. মরিস বুকাইলি দৃষ্টি দিচ্ছিলেন যে কিভাবে এই ফিরাউন মারা গেল! পরিশেষে, রাতের শেষের দিকে ফাইনাল রেজাল্ট আসলো!
তার শরীরে লবণ অবশিষ্ট ছিল: এইটা সবচেয়ে বড় প্রমাণ যে সে (ফিরাউন) ডুবে মারা গিয়েছিল এবং তার শরীর ডোবার পরপরই সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র [লোহিত সাগর] থেকে তুলে আনা হয়েছিল! তারপর লাশটা সংরক্ষণ করার জন্য দ্রুত মমি করা হল। কিন্তু এখানে একটা ঘটনা প্রফেসর মরিসকে হতবুদ্ধ করে দিল, যে কিভাবে এই মমি অন্য মমিদের তুলনায় একেবারে অরক্ষিত অবস্থায় থাকল, যদিওবা এটা সমুদ্র থেকে তোলা হয়েছে [কোন বস্তু যদি আদ্র অবস্থায় থাকে ব্যাকটেরিয়া ঐ বস্তুকে দ্রুত ধ্বংস করে দিতে পারে, কারণ আদ্র পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করতে পারে]!!
ডা. মরিস ফাইনাল রিপোর্ট তৈরি করল যাতে তিনি বললেন: এটা একটা নতুন আবিস্কার। সেই সময় তাকে একজন তার কানে ফিসফিসিয়ে বলল: মুসলিমদের এই ডুবে যাওয়া মমি সম্পর্কে ঝট করে আবার বলতে যেও না! কিন্তু তিনি দৃঢ়ভাবে এর সমালোচনা করলেন এবং এটা আজব ভাবলেন যে, এরকম একটা বিশাল আবিস্কার যেটা আধুনিক বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য সহায়তা করবে সেটা জানানো যাবেনা!!
কেউ একজন তাকে বলল যে কুরআনে বলা আছে যে ফিরাউনের ডুবা ও তার লাশ সংরক্ষণের ব্যাপারে। এই ঘটনা শুনে ডা. মরিস বিস্মিত হয়ে গেলেন এবং প্রশ্ন করতে লাগলেন, এটা কিভাবে সম্ভব? এই মমি পাওয়া গিয়েছে মোটে ১৮৮১ সালে, আর কুরআন নাজিল হয়েছে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে!! আরবেরা প্রাচীন মিসরীয়দের মমি করার পদ্ধতিতো জানতোই না, মাত্র কয়েক দশক আগে আমরা জানলাম!! ডা. মরিস বুকাইলি সেই রাতে ফিরাউনের লাশের দিকে একদৃষ্টিতে তাকেয়ে বসে রইলেন, আর গভীরভাবে ভাবছিলেন যেটা তার কলিগ তার কানে ফিশফিশিয়ে বলে গেল যে মুসলিমদের কুরআনে ফিরাউনের লাশের সংরক্ষণের কথা!!
বাইবেল ফিরাউন কর্তৃক মুসা (আ) পিছু নেয়ার কথা বলা আছে কিন্তু ফিরাউনের লাশের কি হল সেটা সম্পর্কে কিছুই বলা নেই। তিনি নিজেকেই প্রশ্ন করছিলেন যে, এটা কি সম্ভব যে এই মমি যার সেই (ফিরাউন) কি মুসার (আ) পিছু নিয়েছিল? এটা কি ধারণা করা যায় যে মুহাম্মদ (স) ১৪০০ বছর আগেই এটা সম্পর্কে জানতেন?
ডা. মরিস সেই রাতে ঘুমাতে পারলেন না, তিনি তোরাহ্ (তাওরাত) আনালেন এবং সেটা পড়লেন। তোরাহতে বলা আছে, পানি আসলো এবং ফিরাউনের সৈন্য এবং তাদের যানবাহনগুলোকে ঢেকে দিল, যারা সমুদ্রে ঢুকল তাদের কেউই বাঁচতে পারল না। ডা. মরিস বুকাইলি হতবুদ্ধ হয়ে গেলেন যে বাইবেলে লাশের সংরক্ষণের ব্যাপারে কিছুই বলা নেই!!
তিনি তার লাগেজ বাধলেন এবং সিদ্ধান্ত নিলেন যে যে তিনি মুসলিম দেশে যাবেন এবং সেখানে প্রখ্যাত মুসলিম ডাক্তারদের সাক্ষাৎকার নিবেন যাদের অটোপ্সি বিশেষজ্ঞ। তার সেখানে পৌছনোর পর ফিরাউনের লাশ ডুবার পর সংরক্ষণের যে আবিষ্কার তিনি যেটা পেয়েছেন সেটা নিয়ে বললেন। তাই একজন বিশেষজ্ঞ (মুসলিম) পবিত্র কুরআন খুললেন এবং আয়াতটা ডা. মরিসকে পড়ে শুনালেন যেখানে সর্বশক্তিমান আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা বলেনঃ
“অতএব আজকের দিনে বাঁচিয়ে দিচ্ছি আমি তোমার দেহকে যাতে তোমার পশ্চাদবর্তীদের জন্য নিদর্শন হতে পারে। আর নিঃসন্দেহে বহু লোক আমার মহাশক্তির প্রতি লক্ষ্য করে না।” [আল-কুরআন; সুরাঃ ১০, আয়াতঃ ৯২]
তিনি এই আয়াতের দ্বারা খুবই প্রভাবিত হয়ে পড়লেন এবং দর্শকদের (মুসলিম সার্জন) ভীষণভাবে অভিভূত হয়ে পড়লেন এবং তিনি তার জোর গলায় চিৎকার দিয়ে বললেন: আমি ইসলামে প্রবেশ করেছি এবং আমি এই কুরআনে বিশ্বাসী। [সুবহানাল্লাহ]
ডা. মরিস বুকাইলি ফ্রান্স ফিরে গেলেন এক ভিন্ন অবস্থায়। ফ্রান্সে ১০ বছর তিনি আর কোন ডাক্তারি প্রকটিস্ করেন নি বরং এই সময়ে (টানা ১০ বছর ধরে) তিনি আরবী ভাষা শিখেছেন। তিনি পবিত্র কুরআনে কোন বৈজ্ঞানিক দ্বিমত আছে কিনা সেটা খুজেছেন, তারপর তিনি পবিত্র কুরআনের একটি আয়াতের অর্থ বুঝলেন যেটাতে বলা আছেঃ
“এতে মিথ্যার প্রভাব নেই, সামনের দিক থেকেও নেই এবং পেছন দিক থেকেও নেই। এটা প্রজ্ঞাময়, প্রশংসিত আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।” [আল-কুরআন; সুরাঃ ৪১, আয়াতঃ ৪২]
অত:পর ডা. মরিস বুকাইলি একটা বই লেখেন যেটা পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের টনক নাড়িয়ে দেয়। যেটা বেস্ট সেলার হয়। বইটি প্রায় ৫০ টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে!!
বইটির নামঃ “বাইবেল, কুরআন এবং বিজ্ঞান”
তিনি থিওরি অফ এভুলুশনকে চ্যালেঞ্জ করে একটি বই লেখেন, যার নাম "What is the Origin of Man?"
(কপি, ইসলামিক রেডিও ওয়েবসাইট থেকে)
কানাডায় এক বরফ শীতল রাতে, একজন কোটিপতি তার ঘরের সামনে এক বৃদ্ধ দরিদ্র মানুষকে দেখতে পেলেন। তিনি বৃদ্ধ মানুষটিকে জিজ্ঞাসা করলেন,
"বাইরে এত ঠাণ্ডা আর আপনার গায়ে কোনো উষ্ণ কাপড় নেই, আপনার কি ঠাণ্ডা লাগে না?
বৃদ্ধ লোকটি উত্তর দিল, "আমার কাছে উষ্ণ কাপড় নেই কিন্তু আমি মানিয়ে নিয়েছি।"
কোটিপতি উত্তর দিয়েছিলেন, "আমার জন্য অপেক্ষা করুন।
এখন আমি আমার ঘরে ঢুকে আপনার জন্য একটা উষ্ণ কাপড় নিয়ে
আসবো।"
দরিদ্র বৃদ্ধ খুব খুশি হয়ে বলল, সে তার জন্য অপেক্ষা করবে। কোটিপতি তার বাড়িতে ঢুকলেন এবং সেখানে ব্যস্ত হয়ে গেলেন এবং দরিদ্র মানুষটার কথা ভুলে গেলেন।
সকালে তার মনে হলো, সেই দরিদ্র বৃদ্ধের কথা। তিনি সাথে সাথে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন বৃদ্ধকে খুঁজে বের করার জন্য। কিন্তু তিনি বৃদ্ধ মানুষটাকে ঠান্ডার কারণে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
আর বৃদ্ধ মানুষটার হাতে একটা চিরকুট দেখতে পেলেন।
চিরকুটে লিখা ছিলো -
"যখন আমার কোন উষ্ণ কাপড় ছিল না, তখন ঠান্ডার সাথে লড়াই করার ক্ষমতা আমার ছিল কারণ আমি মানিয়ে নিয়েছিলাম।
কিন্তু যখন আপনি আমাকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তখন আমি আপনার প্রতিশ্রুতির সাথে আসক্ত হয়ে গিয়েছিলাম এবং আমি আমার তীব্র ঠাণ্ডা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলি"।
"কাউকে প্রতিশ্রুতি দেয়ার আগে ভাবুন এবং অহেতুক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি থেকে বিরত থাকুন!!
( সংগৃহীত )
⚠️
লাইফ ইজি করার পার্সপেক্টিভ
1) Everyone has problems:
এমন চিন্তা করার কোন কারণ নাই যে দুনিয়ার সব প্রব্লেম ই তোমার লাইফে চলে আসছে। অন্য কারো লাইফে কোন সমস্যাই নাই। বরং একটু খোঁজ নিলেই দেখা যাবে। সবার লাইফেই কম বেশি-- পার্সোনাল, ফাইনান্সিয়াল, ফ্যামিলি, রিলেশনাল, হেলথ, এডুকেশনাল, ক্যারিয়ার, বস দেখতে পারে না, প্রতিবেশী, জমি-জমা, ল্যাপটপ ঠিক মতো চলে না, ব্রডব্যান্ড নিতে পারছে না। অর্থাৎ কিছু না কিছু সমস্যা আছেই। যেগুলা বাহির থেকে দেখলে আমরা বুঝতে পারি না।
যখন তুমি রিইলাইজ করবে-- তোমার জীবনে সমস্যা আছে অন্য সবার লাইফেও তেমন সমস্যা আছে --ভাবতেই তোমার ভিতরটা অনেক হালকা হয়ে উঠবে।
2) No one has a Perfect Life
দূর থেকে অন্য অনেকের জীবন পারফেক্ট মনে হয়। পারফেক্ট ক্যারিয়ার, পারফেক্ট কাপল, পারফেক্ট জিনিয়াস, পারফেক্ট লাইফ, পারফেক্ট ফিউচার। কিন্তু একটু ডিটেইল এ খোঁজ নিলেই বুঝতে পারবে-- তারাও অন্য সবার মতো ইম্পারফেক্ট। তারাও মিস্টেক করে। তারাও ভুল ডিসিশন নেয়। তারাও গ্যাঞ্জাম পাঁকিয়ে ফেলে। তাদেরও পেটে ব্যাথা, দাঁত শিনশিন, বুক চিনচিন, আমাশয় হয়।
একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবে। তোমার লাইফের সবকিছু কিন্তু তুমি সোশ্যাল মিডিয়াতে দাও না। কোথাও ঘুরতে গেলে, ভালো রেস্টুরেন্ট এ খাইলে, ভালো রেজাল্ট করলে সেই ভালো জিনিসগুলো শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতে দাও। আর খারাপ বা নরমাল জিনিসগুলা দাও না। একইভাবে অন্যরা শুধু ভালো জিনিসগুলাই দেয়। খারাপ বা নরমাল জিনিসগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে দেয় না।
সো, আরেকজনের সোশ্যাল মিডিয়া লাইফের সাথে তোমার রিয়েল লাইফের তুলনা করতে যেও না।
3) Situation is similar for everyone:
সব সময় খেয়াল রাখবে: যে জিনিসটা তোমার জন্য টাফ সেটা অন্য সবার জন্যও টাফ। যে জিনিসটা তোমার কাছে বোরিং, হার্ড, চ্যালেঞ্জিং; সে জিনিসটা অন্য সবার কাছেও বোরিং, হার্ড, চ্যালেঞ্জিং।
বাহির থেকে কারো কারো জন্য কিছু জিনিস ইজি মনে হতে পারে। কিন্তু ভিতরের ব্যাপার সেরকম না। বরং তাদের জন্যও হার্ড। হয়তো কোন কারণে (ডাইরেক্টলি বা ইন্ডাইরেক্টলি) তারা ওই জিনিসটার সাথে লেগে ছিল। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস। ধৈর্য্য নিয়ে কিংবা দাঁত কামড়ে পড়ে ছিল। সেই ধাপগুলো পার হওয়ার পর এখন বাইর থেকে আমরা দেখলে মনে করি তার জন্য জিনিসগুলা ইজি পিজি লেমন স্কুইজি। বা ন্যাচারাল। কিন্তু ভিতরের বিষয় হচ্ছে: লেম্বু চিপার মতো করে যে তার ভিতরের জিনিস সব কচলাইয়া রস বের করে তারপর এচিভ করছে সেটা বাহির থেকে ফিল পাওয়া যায় না
সো, আরেকজনের আউটপুট বা লাষ্ট স্টেপ তোমার ইনপুট বা ফার্স্ট স্টেপ এর সাথে তুলনা করতে যেও না।
4) Nobody gains multiple-skills at the same time
আমরা অনেক কেই দেখি অনেক কিছু তে প্রো। বস পাবলিক। ইংরেজিতে পক পক করে। গ্রাফিক ডিজাইন করে আবার এখন নাকি ওয়েব ডেভেলপার হচ্ছে। এতো প্রতিভার ঝাড়িঝুড়ি ঝলকানিতে আমরা জলসে যাই। তারা এতো কিছু কিভাবে করে? আর আমি তো একটা জিনিসই করতে পারি না। বা একটার বেশি দুইটা জিনিস করতে গেলে ক্যাঁচাল বাঁধায় ফেলি।
এক্ষেত্রে ভিতরের বিষয় হচ্ছে--তারা কেউই সব স্কিল একদিনে তৈরি করেনি। প্লাস সব কাজ একসাথে করে না। হয়তো স্কুলে থাকতে একটু ড্রয়িং করেতো। এখন দরকার পড়লে ডিজাইন করতে পারে। যখন ফ্রি টাইম পাইছে ইংরেজি নিউজপেপার বা ইংরেজি বই পড়েছে। হয়তো ভার্সিটিতে পড়ার পাশাপাশি প্রোগ্রামিং বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখেছে। এখন করা লাগলে সেটাতে ফোকাস করতে পারে। বা কিছু একটা বানাইতে পারে। যদিও স্কিলগুলা সে একসাথে ডেভেলপ করে নাই। তারপরেও তাকে দেখলে মনে হয় সে ডিজাইনে ভালো, ডেভেলপমেন্ট এ ভালো আবার ইংরেজিতেও ভালো।
সো, তুমিও অন্য কারো মাল্টি স্কিল দেখে নিজেকে অসহায় মনে না করে বা একসাথে দুনিয়ার সব প্রব্লেম সল্ভ না গিয়ে। একটা একটা করে শিখতে যায়। তোমার লাইফও ইজিয়ার হবে এবং চার বছর পরে তোমারও মাল্টি-স্কিল তৈরি হয়ে যাবে।
5) You are unique
হাজার চেষ্টা করলেও তোমার লাইফ অন্য কারো লাইফ এর মতো হুবহু সেইম টু সেইম হবে না। কারণ দুনিয়ার সবাই ইউনিক। সবার লাইফ ইউনিক। সবার সিচুয়েশন ইউনিক। সবার সফলতা বা ব্যর্থতা ইউনিক।
তাই অন্যের সাথে তুলনা না করে তাদের লাইফ থেকে কিছু নিতে পারলে নাও। না নিতে পারলে ইগনোর করো। এবং তোমার বাস্তবতা মেনে নাও। তাহলে তোমার লাইফ অনেক ইজি হয়ে উঠবে।
সামারি হচ্ছে: তুলনা না করে, নিজেকে পরিচালনা করো। অযথা চিন্তা না করে, চেষ্টা করো। দৃষ্টিভঙ্গি এডজাস্ট করো। বাকিসব এডজাস্ট হয়ে যাবে। সেজন্যই হয়তো গুরুজনেরা বলে গেছেন-- দৃষ্টিভঙ্গি বদলাও, জীবন বদলে যাবে।
Jhankar Mahbub
১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ছিলো, একটা ছেলে যদি একজন মেয়ের সাথে কথা বলতে চায়, তবে তাকে প্রক্টর বরাবর দরখাস্ত দিতে হবে। শুধুমাত্র প্রক্টর অনুমতি দিলেই সে কথা বলতে পারবে। এছাড়া নয়। এমনকি তার ক্লাসের কোন মেয়ের সাথেও না।
ডিসেম্বর ১৯২৭, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাত্র ৬ বছর পর। একদিন কোলকাতা থেকে একজন যুবক এলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখবেন। কয়েকজন বন্ধু বান্ধব নিয়ে সে ঘুরতে বের হলো। তখন কার্জন হল ছিলো বিজ্ঞান ভবন। ঘুরতে ঘুরতে যখন কার্জন হলের সামনে এসে পড়লো তারা, সে যুবক দেখলো দূরে একটা থ্রী কোয়ার্টার হাতার ব্লাউজ আর সুতির শাড়ি পরা এক মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সে তার বন্ধুদের জিজ্ঞেস করলেন, এই মেয়েটি কে? তখন তার বন্ধুরা বলল, এ হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম নারী ছাত্রী। তখন সেই যুবক বলে, সত্যি? আমি এই মেয়ের সাথে কথা বলব। তখন সে যুবক মেয়েটির সাথে কথা বলার জন্য একটু এগিয়ে গেলে তার বন্ধুরা তাকে বাঁধা দেয়। বলে, না তুমি যেওনা। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের সাথে কথা বলার অনুমতি নেই। তুমি যদি ওর সাথে অনুমতি ছাড়া কথা বলো তবে তোমার শাস্তি হবে। সেই যুবক বলল, "আমি মানি নাকো কোন বাঁধা, মানি নাকো কোন আইন।"
সেই যুবক হেঁটে হেঁটে গিয়ে সেই মেয়েটির সামনে দাঁড়ালো। তারপর তাকে বলল, আমি শুনেছি আপনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম নারী ছাত্রী। কি নাম আপনার? মেয়েটি মাথা নিচু করে বলল, ফজিলাতুন্নেছা। জিজ্ঞাসা করলো, কোন সাবজেক্টে পড়েন? বলল, গণিতে। গ্রামের বাড়ি কোথায়? টাঙ্গাইলের করোটিয়া। ঢাকায় থাকছেন কোথায়? সিদ্দিকবাজার। এবার যুবক বললেন, আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম নারী ছাত্রী, আপনার সাথে কথা বলে আমি খুব আপ্লুত হয়েছি। আজই সন্ধ্যায় আমি আপনার সাথে দেখা করতে আসবো।
মেয়েটি চলে গেলো। এই সব কিছু দূরে দাঁড়িয়ে এসিস্ট্যান্ট প্রক্টর স্যার দেখছিলেন। তার ঠিক তিনদিন পর। ২৯ ডিসেম্বর ১৯২৭, কলা ভবন আর বিজ্ঞান ভবনের নোটিশ বোর্ডে হাতে লেখা বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে দেয়া হলো যুবকের নামে। তার নাম লেখা হলো, তার বাবার নাম লেখা হলো এবং বিজ্ঞপ্তিতে বলা হলো, এই যুবকের আজীবনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
তারপরে এই যুবক আর কোনদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি। সেইদিনের সেই যুবক, বৃদ্ধ বয়সে ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট মৃত্যুবরণ করলেন। যে যুবকটা আর কোনদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ করেননি, তার মৃত্যুর পরে তার কবর হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সেই যুবকের নাম, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
পুনশ্চ: মেয়েটি
ফজিলাতুন্নেসা জোহা,
কবি নজরুল ওনাকে নিয়ে 'বর্ষা বিদায়' কবিতা লেখেন।
সংগৃহীত
বিশ্বাসঘাতকতার চরমতম নিদর্শন পলাশীর যুদ্ধ।
মীরজাফর, নবাব কে সিংহাসনচ্যুত করার জন্য ইংরেজদের সঙ্গে চুক্তি করেছে এই খবর পাওয়ার পর, নবাব সিরাজউদ্দৌলা মীরজাফরকে সেনাপতির পদ থেকে বরখাস্ত করলেন। ওদিকে মীর জাফরের সঙ্গে চুক্তিমতো ক্লাইভের নেতৃত্বে ইংরেজ সৈন্য পলাশীর " লাক্ষাবাগ " এ ( এক লক্ষ গাছের বাগান ) হাজির হয়।
যুদ্ধের জন্য নবাবও তৈরি হলেন। এই সময় নবাবের শুভাকাঙ্ক্ষী মীরমর্দন ও আব্দুল হাদী খান পরামর্শ দেন, অবিলম্বে মীরজাফরকে হত্যা করা হোক। অপরদিকে তখনকার প্রভাবশালী মীরজাফরের সহযোগীরা নবাব কে পরামর্শ দিলেন, মীরজাফরের মতন অভিজ্ঞ শক্তিশালী সেনাপতি ছাড়া ইংরেজদের পরাজিত করা সম্ভব নয়। নবাব প্রভাবশালী দ্বিতীয় পক্ষের পরামর্শ মেনে নিয়ে মীরজাফরকে পুনরায় সেনাপতি নিযুক্ত করে পলাশীর প্রান্তরে উপস্থিত হলেন।
১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন বাংলার ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়।
ঐতিহাসিক ইউসুফ আলী খান লিখেছেন, " এই যুদ্ধে নবাবের পক্ষে ছিল ৩৫,০০০ পদাতিক সৈন্য, ১৫,০০০ অশ্বারোহী সৈন্য এবং ৩৫ টি কামান। এই সৈন্যের মধ্যে মোহনলালের অধীনে ছিল ৫,০০০ অশ্বারোহী এবং মীরমর্দনের অধীনে ছিল ৭,০০০ পদাতিক সৈন্য। বাকি সৈন্য ছিল মীরজাফরের অধীনে।
অপরদিকে ইংরেজদের ছিল মাত্র ৩,০০০ সৈন্য। তারমধ্যে ২,৩০০ দেশি এবং ৭০০ ইংরেজ সৈন্য এবং তিনটি কামান।
দু'পক্ষের এক অসম যুদ্ধ শুরু হল। নবাব বাহিনীর প্রধান সেনাপতি মীর জাফর আলী খান পুতুলের মতন দাঁড়িয়ে রইলেন। মিরমর্দন, মহানলালের নেতৃত্বে নবাব বাহিনী বীর বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়ল। প্রথম আক্রমণেই ইংরেজ বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। সিরাজউদ্দৌলার জয় ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে একটি কামানের গোলার আঘাতে সিরাজউদ্দৌলার বিশ্বস্ত সেনাপতি মিরমর্দন নিহত হন। এই খবর শুনে নবাব মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি মীরজাফরকে তার কাছে ডেকে পাঠান এবং মাথার পাগড়ী মীরজাফরের পায়ের কাছে রেখে, নবাবের সম্মান রক্ষা করার জন্য আকুল আকুতি মিনতি জানায়।
সমসাময়িক ঐতিহাসিক " মোজাফফর নামার " লেখক বলেন, আমি শুনেছি যে মীর মোহাম্মদ জাফর আলি খান, সেই সময়ই নবাব কে হত্যা করতে চেয়েছিল কিন্তু নবাবের অসংখ্য সৈন সেখানে উপস্থিত থাকার কারণে তিনি-তা করতে সক্ষম হননি।
সিরাজউদ্দৌলার কাতর আবেদনে মীরজাফর নবাব কে পরামর্শ দেন, আজকের মতন যুদ্ধ বন্ধ রাখা হোক, সৈন্যদের তাবুতে ফিরিয়ে আনা হোক, আগামীকাল নতুন উদ্যমে যুদ্ধ শুরু করা হবে। নবাব মেনে নিলেন মীরজাফরের কথা, এছাড়া তাঁর অন্য কোনো উপায়ও ছিল না। নবাবের আদেশে সৈন্যদের তাবুতে ফিরিয়ে আনা হয়। হঠাৎই বিশ্রাম রত সৈন্যদের উপরে ইংরেজ বাহিনী ঝাপিয়ে পড়ে। বিশ্রাম রত নবাবের সৈন্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে দৌড়ে পালাতে লাগল। অসহায় নবাব নিজেও পালাতে বাধ্য হলেন।
এই যুদ্ধে নবাবের ৫০০ সৈন্য নিহত হয়, আর ইংরেজদের পক্ষে মাত্র ২৩ জন সৈন্য এবং আহত হয় ৪৯ জন।
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে নবাব সিরাজউদ্দৌলা বোরখা পরে, প্রথমে গেলেন রাজমহলে সেখানে একজন ফকির নাম, দান শাহ বা শাহ দানের কাছে উপস্থিত হন। ফকির আল্লাহর বান্দা ভেবে নবাব তাকে নিজের পরিচয় দেন এবং তার কাছে সাহায্য চান। কিন্তু বিশ্বাসঘাতক ফকির নবাবকে সাহায্যের নাম করে মীরজাফরের চরের কাছে খবর পাঠিয়ে দেন। মীরজাফরের ভাই মীর দাউদ এসে নবাবকে বন্দি করে এবং চরম অপমান করে। তারপর একটি গরুর গাড়িতে চড়িয়ে রাজধানী মুর্শিদাবাদে আনে। নবাবকে হত্যা করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় মুহাম্মদী বেগ'কে। এই মুহাম্মদী বেগ ছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলার বাবা জয়ন উদ্দিনউদ্দিনের পালিত ছেলের মতন। সিরাজও তাকে ভাইয়ের মতন ভালোবাসতেন। নিমকহারাম মুহাম্মদী বেগ নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে অল্প অল্প করে কুড়িটি ছুরির আঘাত করে, যাতে নবাব মৃত্যু যন্ত্রণা পেয়ে মারা যায়। তার পরেও নবাব জীবিত ছিলেন। পরে এক মোঘল সৈন্য তলয়ারের এক কাপে নবাব কে হত্যা করে।
দিনটা ছিল ২ রা জুলাই ১৭৫৭ সাল।
নবাবের মৃতদেহ একটি হাতির সাথে বেঁধে সারা মুর্শিদাবাদে ঘোরানো হয়। পরে আলিবর্দীর কবরের পাশে বাংলার নবাব কে কবর দেওয়া হয়।
সেই সাথে বাংলা স্বাধীনতার সূর্যও অস্ত যায়।
পরবর্তীতে আরো বেশ কয়েকজন মুর্শিদাবাদের নবাব হয়েছিলেন কিন্তু তারা কেউ স্বাধীন নবাব ছিলেন না। তারা ছিলেন ইংরেজদের হাতের পুতুল। ইংরেজদের দেওয়া মাসোহারা দিয়েই তাদের নবাবী করতে হতো।
(যারা নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তারা হলেন-- মীরজাফর, জগৎ শেঠ, রায়দূর্লভ ও অন্যান্যরা।)
বাংলার ইতিহাস থেকে তথ্য সংগৃহীত।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the public figure
Telephone
Website
Address
Bagerhat
DHULIGATI-9322
Bagerhat
আসসালামু আলাইকুম � এটা আমার নতুন � পেজ সবাই একটু � সাপোর্ট করেন প্লিজ � ..... � � �
Bagerhat
Assalamu Alikum! This is Md Reajul Islam Official You Tube Channel. I bron bagerhat kingdom dhaka.Here will share my Lifestyle. vlogs and travel videos. please SUBSCRIBED and pre...
Vill:Teakatia ; P. O:vangonpar ; Fokirhat
Bagerhat, 9372
✅ Support Me ✅ Follow My Personal Page✅
বাগেরহাট/দেপাড়া/কলেজ রোড নিয়া, পার নওয়াপাড়া মেইন রোড
Bagerhat, 9300
দক্ষিণ আতাইকাঠি দেপাড়া, বাগেরহাট সদর ৯৩০০